র্যাবের জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ৯৪৯ জন র্যাব সদস্যকে লঘু ও গুরু শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইনু এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেককে চাকরিচ্যুতও করা হয়েছে। সুতরাং র্যাব আইনের ঊর্ধ্বে নয়। র্যাবের কেউ অপরাধ করলে তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া র্যাব বাতিলের যে দাবি করেছেন, এটাকে হটকারী, উসকানিমূলক ও চক্রান্তমূলক বলে মন্তব্য করেন ইনু। মন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘তাঁর (খালেদা জিয়া) এই দাবি মাথাব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলার মতো। এই দাবি প্রত্যাহার করে সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব থাকলে তা দেন।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় র্যাবের হাতে বেশি মানুষ মারা গেছে। ২০০৪ সালে র্যাবের যাত্রা শুরুর পর প্রথম তিন বছরেই ৩৭৩ জন মারা যায়। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত পাঁচ বছরে এ সংখ্যা কমে ২৭৮ জনে পৌঁছেছে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় র্যাব সদস্যদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইনু বলেন, প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে এই তিনজনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং গ্রেপ্তারও হবে। হাইকোর্টের নির্দেশমতো প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রথমআলো