টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্রডব্যান্ড প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ বাংলাদেশে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। বাংলাদেশে দুই দশকে টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে বিপুল অগ্রগতি হলেও এখনো দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারি মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তবে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অনেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে নানা ধরণের সেবা দিচ্ছেন গ্রামবাসীকে। যেমন প্রবাসে থাকা আত্বীয় পরিজনদের স্কাইপের মাধ্যমে যোগাযোগ, জমি রেজিস্ট্রেশনসহ অনলাইনের বিভিন্ন কাজ আর তার ফলে বিকল্প আয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে অনেকের। এমনই একজন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সাথী আক্তার। বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা হয় তার।
সাথী আক্তার : আমরা যে কাজগুলো করি তা হচ্ছে বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে যেমন শিক্ষা, আইন, কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য দিয়ে থাকি। এছাড়াও তাদেরকে স্কাইপিতে কথা বলাই।
বিবিসি : কারা মূলত এই স্কাইপি ব্যবহার করেন ?
সাথী আক্তার : যাদের ছেলে বা ভাই অথবা হাজব্যান্ড দেশের বাইরে থাকে, তারাই মূলত এই স্কাইপি ব্যবহার করে। আমরা তাদের বাড়িতে গিয়ে স্কাইপিতে কন্টাক্ট করিয়ে দেই। এই সেবার জন্য আমরা ঘন্টা প্রতি ২’শ টাকা নেই। কারণ আমরা হিসাব করে দেখলাম যে আমাদের অনেক ক্ষেত্রে দূরে গিয়ে কাজ করতে হয়। আর সেসময় সারা দিন আমাদের সেখানে পার হয়ে যায়। তাই ১’শ টাকায় আমাদের চলেনা।
বিবিসি : এই সেবার জন্য ইন্টারনেট সেবা আপনারা কেমন পান ?
সাথী আক্তার : প্রথম দিকে আমরা যখন গ্রামীণ সিম ব্যবহার করে এই সেবা দিতাম, তখন একটু সমস্যা হত। কিন্তু পরবর্তিতে যখন রবি সিম ব্যবহার করতে শুরু করলাম তখন স্পীড ভালো পেলাম। কোথায় গিয়ে দেখাগেল তাদের রুমের মধ্যে গিয়ে কথা বলতে হয়। এমন সময় একটু নেটে প্রবলেম করে। এসময় আমরা রুম থেকে বাইরে গিয়ে কথা বলায় দেই। তার পরেও দেখা যায় আধাঘন্টা পর নেটওয়ার্কের দুর্বলতার কারণে লাইনটি কেটে যায়। পরে আবারো আমরা রিকল করে কথা বলাই দেই।
বিবিসি : এই সেবা দিতে গিয়ে আপনারা কি কি সমস্যার সম্মুখিন হন ?
সাথী আক্তার : নেটওয়ার্কের একটা সমস্যা। তাছাড়া কারও বাড়িতে গেলে বিষয়টি তাদেরকে বোঝাতে গিয়ে অনেক সমস্যা হয়। অনেক সময় তারা বিষয়টি বুঝতে চাইনা। আমরা কি কাজ করি ? কেন করি ? এটা কি সরকারি নাকি কোন এনজিও ? এমন নানা ধরণের প্রশ্নের সম্মুখিন হই। তবে বর্তমানে আমাদের যে ওয়ার্কিং এরিয়াগুলো আছে, এখানে কাজ করতে সমস্যা হয় না। তবে দূরে নতুন কোথাও গেলে সমস্যা হয়।
প্রথম যখন আমরা ২০১০ সালে কাজ শুরু করলাম, তখন আমার পরিবার থেকে কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি। এই কাজে অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হয়েছে। ল্যাপটপ, ক্যামেরা, সাইকেল, প্রেসার ও ওজন মাপা যন্ত্র অনেক কিছু কিনতে হয়েছে। প্রথমে ১৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করেছি। পরে ইনকাম থেকে এই টাকাগুলো পরিশোধ করেছি। তাছাড়া কম্পিউটার কিনেছি এবং মোবাইল ব্যাংকিং এসব পরে আমার ইনকাম থেকে করেছি। বিবিসি