মানুষের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করে দিয়েছে প্রযুক্তি। আর আমরা নির্ভর করছি প্রযুক্তির আধুনিকতার উপর। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি পণ্যগুলোর ভালো-খারাপ দিক নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরা হচ্ছে এগুলোর ক্ষতিকারক দিকের কথা। এখানে প্রযুক্তি পণ্য কিভাবে আমাদের ব্যক্তিত্বকে অন্যের কাছে বিরক্তিকর, সাধারণ জ্ঞানবুদ্ধিহীন, রুক্ষ ও অভদ্র করে তুলছে।
১. পরিবারের সঙ্গে রাতের খাবারে ব্যস্ততা : পৃথিবীর প্রায় সব পরিবারই চায় রাতে অন্তত সব সদস্যরা একসঙ্গে বসে রাতের খাবার খাবে। যে যার মতো তার কম্পিউটার বা ট্যাব বা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এক টেবিলে এসে বসলেও একই কাজ চলতেই থাকে। কেউ কারো সঙ্গে কথা বলেন না। এমনকি খাওয়াতেও মনযোগ থাকে না তাদের।
২. পাবলিক রেস্টরুমে নিরন্তর কথা : বাসা নিজের কক্ষে বসে যতো কথা বলুন সমস্যা নেই। কিন্তু বাইরে বা কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেস্টরুমে বসে যখন লাগাতার কথা বলতে থাকেন, তখন তা সাধারণ জ্ঞান-বুদ্ধির অভাব প্রকাশ করে।
৩. ইয়ারফোনে ব্যস্ততা : গান শুনতে ইয়ারফোন দারুণ জিনিস। কিন্তু যেখানে আপনার সঙ্গে মানুষের কথা-বার্তা বলতে হবে এবং শুনতে হবে সেখানে যদি দুই কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে রাখেন, তাহলে অন্যরা কীভাবে কথা বলবে আপনার সঙ্গে? আবার কারো কথা না শুনতে পেয়ে আপনিও বারবার তাকে কথাটি আবার বলার জন্য অনুরোধ করছেন। এসব না করে ইয়ারফোন খুলে রাখুন।
৪. তীব্র শব্দে রিংটোন : কল আসার টোন, মেসেজ টোন বা মেইল নোটিফিকেশন অনেকের মোবাইলে এতো বিকট শব্দ দেওয়া থাকে যে, বেজে ওঠা মাত্রই হার্টের একটি স্পন্দন মিস হয়। মানুষকে শব্দ দূষণের দ্বারা বিরক্ত না করে আওয়াজ কমিয়ে রাখুন বা কানে যন্ত্রণার উদ্রেক করে না এমন রিংটোন ব্যবহার করুন।
৫. চলতে চলতে মেসেজ করা : রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন আর মেসেজ করছেন। কোনো খেয়াল নেই আশপাশে। একবার এর সঙ্গে ধাক্কা খান তো আরেকবার অন্যজনের সঙ্গে। এমন বিপদজনকভাবে মেসেজ করতে করতে চলা কি উচিত? শুধু নিজের নয়, অন্যের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারেন আপনি।
৬. সেলফি : প্রতিদিন নিজের তোলা নিজের ছবি দেখতে হয়তো একমাত্র আপনার মায়ের ভালো লাগবে, আর কারো নয়। কাজেই বোকার মতো একটার পর একটা সেলফি দিয়ে সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় করার কোনো মানে নেই।