৭ বছর ধরে হাসপাতালের বিছানায়। নড়াচড়ার শক্তি নেই। জীবিত আছেন, লাইফ সাপোর্টে। ফ্রান্সে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কাটছে, ভিনসেন্ট ল্যামবার্ট নামে এক ব্যক্তির।
স্বামীর দুঃসহ এই যন্ত্রণা দেখার শক্তি হারিয়ে ফেলেন, স্ত্রী র্যাচেল ল্যাম্ববার্ট। তাই স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন করেন তিনি। পাশে পাননি কাউকেই। তারপরও ভালোবাসার জয় হয়েছে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর, আদালতের রায় গেছে তার পক্ষে।
ইউথ্যানাশিয়া মানে স্বেচ্ছায় বা পরিবারের ইচ্ছেয় মারা যাওয়ার অধিকার।
সুস্থ হবার সম্ভাবনা নেই, এমন রোগীর লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নেয়াই বিশ্বজুড়ে পরচিত ইউথ্যানেশিয়া অথবা স্বেচ্ছামৃত্যু নামে।
স্বেচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দিয়ে, ফ্রান্সের প্রশাসনিক আদালতের রায় বহাল রাখলো, ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস। আর এর মাধ্যমে নিশ্চিত হলো, ভিনসেন্ট ল্যাম্বার নামের ফ্রান্সের এক অধিবাসীর স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়টি।
কিন্তু এটি সহজ ছিলো না ভিনসেন্টের স্ত্রী র্যাচেলের জন্য। করতে হয়েছে দীর্ঘ আইনি লড়াই। ৩০ বছর বয়সী ভিনসেন্ট ২০০৮ সালে, এক সড়ক দুর্ঘটনায় চলে যান কোমায়। সেখান থেকে ফিরে আসার আর কোনো সম্ভাবনায় নেই তার। তাই স্বামীকে হারানোর বেদনার চেয়েও, তাকে দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে রেহাই দেয়ার সুযোগ পেয়েই, বরং বেশি খুশী র্যাচেল। বলেন, ‘আমি বিচারকের এই রায়ে খুবই অভিভূত। তবে এই বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া আমার পক্ষে অসম্ভব।’
র্যাচেলের আইনজীবী লরেন্ট পেটিটি বলেন, ‘আদালতের বেশিরভাগ আইনজীবীই এই রায়ের পক্ষে ছিলেন। তারপরও অনেকে এটি সমর্থন করেননি।
তবে, রায় নিজের পক্ষে গেলেও, পাশে পাননি শ্বশুর-শাশুড়িকে।
এই প্রক্রিয়াটির যথার্থতা নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইউথ্যানাশিয়া বা আত্মহত্যায় সহযোগিতা করার এই নিয়ম থাকলেও, ফ্রান্সে আইনটি পাশ করা হয় ২০০৫ সালে।