ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৯০ লাখ মার্কিন ডলার)। এরই মধ্যে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে ফেলেছে দেশটি। গত বছরের আগস্ট মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ২০ দেশের সামিরক জোট আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলা পরিচালনা করে আসছে।বিবিসি অনলাইনের এক খবরে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ ধরনের হিসাব প্রথম প্রকাশ করলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন। তারা জানিয়েছেন, মোট ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশ বিমান বাহিনীর পেছনে হয়েছে।
এই খাতে নতুন ব্যয় অনুমোদন দেওয়ার ইস্যুতেই হিসাবটি সামনে এসেছে। কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাবদ ৫৭৯ বিলিয়ন ডলার পাস হয়েছে। এ ছাড়া আইএসবিরোধী হামলায় বা হুমকি মোকাবিলায় অর্থ সরবরাহে এখন কোনো বাধা নেই এবং প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীগুলো ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে পেন্টাগন।
গত বছর নভেম্বরে ইরাকে বিমান হামলা চালানো শুরু করার পর থেকে দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যয় বেড়ে গেছে।
এই সপ্তাহে ইরাকে আরো ৪৫০ সামরিক উপদেষ্টা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ইরাকে মার্কিন সেনাদের মোট সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ জনে।
কিন্তু পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে, মার্কিন সেনারা ইরাকে সরাসরি কোনো অভিযান পরিচালনা করবে না। তারা স্থানীয় ইরাকি সেনাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেবে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয়, ইরাকে আরো শক্তি বাড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।