গত বছরের তুলনায় এ বছর হজযাত্রার খরচ ছয় হাজার টাকা বেড়েছে। এ বছর হজে যেতে আগ্রহীদের প্যাকেজ-১-এর মাধ্যমে খরচ হবে ৩ লাখ ৬০ হাজার এবং প্যাকেজ-২-এ ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘হজ প্যাকেজ- ২০১৬’-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
গত বছর প্যাকেজ-১-এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৫৪ এবং প্যাকেজ-২-এর মাধ্যমে খরচ হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা। মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম খরচ বাড়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, প্রতি বছর ডলারের মূল্যমান কিছু বাড়ে, মুদ্রাস্ফীতি তো আছে। সেই তুলনায় বৃদ্ধিটা বেশি না, সহনীয়ই আছে। এছাড়া বৈঠকে ‘জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি-২০১৬’ খসড়া অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৮ হাজার ৮৬৮ জন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার জন হজে যেতে পারবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেলে কোরবানি ছাড়া প্যাকেজে ৩ লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা খরচ হবে। গত বছর এই খরচ ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৬ টাকা। তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মৌলিক খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪১ টাকা। এর সঙ্গে খাওয়া-বাড়ি ভাড়া যোগ করে সংশ্লিষ্টরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবেন। হজে যেতে সর্বোচ্চ খরচ কত হবে তা সরকার নির্ধারণ করে দেয় না জানিয়ে তিনি বলেন, এটা প্রতিযোগিতামূলক। তবে নিজেরা যে স্বেচ্ছাচারীভাবে বাড়াতে পারবে, বিষয়টা তাও নয়। এদিকে সরকার অনুমোদিত প্রত্যেকটি হজ এজেন্সি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য নিজ নিজ প্যাকেজ অনুসারে মক্কা ও মদিনার বাড়ি ও হোটেল ভাড়া, খাওয়া খরচ, মোয়াল্লেমকে প্রদেয় সার্ভিস চার্জ ইত্যাদি ব্যয় চূড়ান্ত করে সর্বোচ্চ দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেকটি হজ এজেন্সিকে নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খোলা লাগবে। এর মাধ্যমে আবাসন ও খাওয়ার বিল পরিশোধ করতে হবে। ব্যাংকে টাকা জমা করবে, ব্যাংক থেকে খরচ করবে, যাতে স্বচ্ছতা থাকে। বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর নানা প্রতারণার অভিযোগ মন্ত্রিসভার আলোচনায় এসেছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিষয়টি আসেনি। তবে এয়ারলাইন্সগুলোর অবহেলার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, গতবার লাগেজ দুই-তিনদিন বা তার পরে এসেছে। এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিমান মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে এবার তারা বিষয়টা কঠোরভাবে দেখবে। লাগেজগুলো যেন ঠিকমতো আসে এবং ফ্লাইটগুলো যেন অস্বাভাবিক বিলম্ব না করে।