খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেই সঙ্গে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বেড়েছে। পুষ্টি সমস্যা দূর করার জন্য সরকার নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ভিজিডি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে পুষ্টিচাল বিতরণ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে পুষ্টি চাল কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় পুষ্টি চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি জাফর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, ডব্লিউ এফপি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি চেরিস্টা রেডার, কান্ট্রি ডিরেক্টর জাকির হোসেন প্রমুখ।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী এই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাই থাকবেন। তিনি রুটিন ওয়ার্ক কাজ করবেন। আমরা চাই সব দলের অংশ গ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। কেউ নির্বাচনে না এলে সেটা তাদের বিষয়, আমাদের করার কিছুই নেই। এই কর্মসূচির আওতায় কুড়িগ্রাম সদর ও ফুলবাড়ি উপজেলায় ৩১ হাজার পরিবারের মাঝে পুষ্টি চাল বিতরণ করা হবে।
চলতি বছরে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ৯৭টি উপজেলায় ২ লাখেরও বেশি পরিবারকে এই চাল দেয়া হবে। সুবিধাভোগীরা ১০ টাকা কেজিতে প্রতিমাসে ৩০ কেজি পুষ্টি চাল পাবেন। ২০১৭ সালে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় ৩৫টি উপজেলায় ৮৫ হাজার পরিবারকে পুষ্টিচাল বিতরণ করা হয়েছে।