ঢাকা: তৈরি পোশাক খাতের কর্মনিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক চারদিন ব্যাপী কর্মশালা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ইকোনোমিকস ফোরাম (বিইএফ), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং কর্পোরেশন (আইটিসি) এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করেছে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর মেট্রোপলিটন চেম্বার ভবনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
সিনিয়র মাস্টার ট্রেনারদের জন্য আয়োজন করা এ কর্মশালায় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছেন। এরমধ্যে বিজিএমইএ’র ১৫ জন এবং বিকেএমইএ’র ১০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু বলেন, তাজরীন ফ্যাশন ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর গার্মেন্টস খাতের নিরাপত্তায় সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মিকাইল শিপার, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত গারবেন ডি জং, কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন, বাংলাদেশে ডিএফআইডি’র প্রধান সারা কোক, বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম, আইএলও’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আর্নট ডি কস্তা প্রমুখ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব বলেন, গার্মেন্টস খাতের নিরাপত্তায় সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে কোনো এলাকায় ৫ হাজার শ্রমিক থাকলে কারখানা প্রাঙ্গণে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ন্যূনতম মজুরি ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন বলেন, তাজরীন ফ্যাশন ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সর্বশেষ তোবার কাণ্ড বাংলাদেশের গার্মেন্ট খাতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের শিক্ষণীয় বিষয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের যে ইমেজ সংকট দেখা দিয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত গারবেন ডি জং বলেন, পোশাক খাতের উন্নয়নে শ্রমিকদের চাকরির ও স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরনের কর্মশালা অংগ্রহণকারীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে গার্মেন্টস খাতের নিরাপত্তা ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ তোবা ইস্যু সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করেছে। সরকার এ কাজে বিজিএমইএকে সহায়তা করেছে।