শনিবার রাত থেকে গুলশান অফিসে অবরুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বালুর ট্রাক সরে গেলে ও এখন ও আছে গেটে তালা। পুলিশের অবস্থানও যথারীতি বহাল। যদিও সরকারের সব পর্যায় থেকে দাবি করা হয়েছে, খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ নন।তাদের ভাষ্য মতে খালেদা জিয়া চাইলেই বাড়ী পৌছে দেওয়া হবে। গুলশান কার্যালয়ে অঘোষিত বন্দি হওয়ার পর থেকেই রাজনীতির কেন্দ্রে চলে যান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রায় প্রতি মুহূর্তে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের পরিস্থিতির লাইভ সম্প্রচার করে। তবে গতকাল পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন আসে। হঠাৎ করেই টিভি চ্যানেলগুলোতে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের পরিস্থিতির লাইভ সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে দেশের সবগুলো টিভি চ্যানেল পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোন টিভিতেই খালেদা জিয়ার গুলশান অফিসের লাইভ সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে না। বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে রাজি হননি।সম্প্রচার নীতিমালা সম্প্কে জনপ্রিয় কিছু সংবাদকম্ীর কাছে জানতে চাওয়া হলে বলেন সম্প্রচার নীতিমালা বিষয়ে কিছু বাধা নিষেধ রয়েছে। তবে তারা বলেছেন, খালেদা জিয়ার গুলশান অফিস এবং বিএনপির নিউজ লাইভ প্রচারে নিষেধ আছে।প্রসঙ্গত,সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে দর্শকরা একুশে টেলিভিশন দেখতে পাচ্ছেন না। ক্যাবল অপারেটররা টিভি চ্যানেলটি সম্প্রচার করছেন না। টিভি চ্যানেলটির চেয়ারম্যান আবদুস সালামকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে মাস দেড়েক আগে পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। যদিও তিনি ওই মামলায় আসামি ছিলেন না।গ্রেফতার হতে পারেন যমুনা টিভির মালিক ও।তালিকা তে রয়েছেন আরো অনেকেই।

আশিকুর রহমান চৌধুরী