রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে পাওনা টাকা আদায় নিয়ে তিন তরুণীর মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে সালমা (২৩) নামে এক তরুণী আহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে সালমা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে নীলা আহমেদ (৩০) ও ঝরনা আক্তার (২৫) নামে দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নীলা ও ঝরনা বার ড্যান্সার হিসেবে কাজ করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রমনা থানার এসআই শফিউল আলম মামলার বাদির বরাত দিয়ে জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সোনারগাঁও হোটেলের বার থেকে বের হওয়ার সময় নীলা, ঝরনার কাছে পাওনা টাকা চায় সালমা। তখন এ নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তাদের মধ্যে তখন চুলোচুলি ও মারামারি হয়। একপর্যায়ে একজন পায়ের হিল খুলে সালমাকে আঘাত করলে তার কপাল ফেটে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় এবং আহত সালমাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের থানায় নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরও জানান, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে সালমার মা কোহিনুর থানায় নীলা ও ঝরনার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এরপর গতকাল সকালে তাদের দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সালমার স্বজনরা জানান, সালমাকে ভাল বেতনে চাকরি দেয়ার কথা বলে ঝরনা ও নীলা নামের দুই মেয়ে তাদের কাছ থেকে গত ৭-৮ মাস আগে ৫০ হাজার টাকা নেয়। টাকা নেয়ার পর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। পরে তারা খবর পান যে নীলা ও ঝরনা সোনারগাঁও হোটেলে আছে। সেখানে গিয়ে তাদের খুঁজে বের করে পাওনা টাকা চাইলে তারা তার মেয়ে সালমাকে মারধর করে ও মাথা ফাটিয়ে দেয়। সালমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কোহিনুর বেগম বলেন, সালমা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। হাতিরঝিলের বালুরমাঠের দিকে তাদের বাসা। গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটিতে। নীলা ও ঝরনা তাদের পাশের বাসায় থাকতো। তারা দেখতে খুব সুন্দর ও স্মার্ট হওয়ায় তাদের বিশ্বাস করে ওই টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তারা তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।