কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ কিশোরগঞ্জে ৬টি উপজেলার ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজিয়েট স্কুল আটকা পড়েছে মামলার জালে। কোথাও কমিটি নিয়ে দ্বন্দ, কোথাও নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ, আবার কোথাও বেতন-ভাতা নিয়ে জটিলতা থেকে এসব মামলার উদ্ভব হয়েছে বলে জেলা শি¶া কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান জানিয়েছেন। এসব মামলার অধিকাংশই জেলা পর্যায়ের আদালতে চলমান রয়েছে। কয়েকটি মামলা জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের আদালত পার করে এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। জেলা শি¶া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বচারাধীন ১৮টি মামলার মধ্যে তাড়াইল, করিমগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলা ক্লাস্টারে ১১টি, ভৈরব উপজেলায় দু’টি, বাজিতপুর উপজেলায় দু’টি, সদর উপজেলায় একটি, কটিয়াদী উপজেলায় একটি এবং মিঠামইন উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ে মামলা চলমান আছে। এর মধ্যে তাড়াইল, করিমগঞ্জ ও হোসেনপুর ক্লাস্টারের ৭টি বিদ্যালয়ে কমিটি সংক্রান্ত বিরোধে, দু’টি বিদ্যালয়ে নিয়োগ বিষয়ে, একটি বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শি¶কের দায়িত্ব প্রদান বিষয়ে এবং একটি বিদ্যালয়ে বেতন-ভাতা না পাওয়া প্রসঙ্গে মামলা চলছে। এছাড়া ভৈরবের জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজে কমিটি নিয়ে বিরোধে এবং মিঠামইনের ঘাগড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিক বাজিতপুরে হাফেজ আবদুর রাজ্জাক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে একজন শি¶কের বেতন নিয়ে, রাজ্জাকুন্নেছা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে কমিটি নিয়ে বিরোধে এবং সদর উপজেলায় আলহাজ আমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বিরোধে মামলা চলছে। এছাড়া কটিয়াদীতে হাজী শামছুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও ভৈরবের কমলপুর হাজী জহিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হাইকোর্টে দুটি পৃথক রিট পিটিশন বিচারাধীন রয়েছে।