লেখকঃ আবদুল মালেক। কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
সম্পাদনায়- ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী। উপদেষ্টা – স্বদেশ নিউজ২৪.কম
শেখ হাসিনার ৩৫ বছরের প্রাণান্ত পরিশ্রমের ফসল, অগ্রসরমান বাংলাদেশ। দুনিয়ার বিপরীতে দাঁড়িয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচার, তাঁর অন্যতম সাফল্য। কিন্তু চমকে উঠি, কর্মী সংগ্রহের নামে কিছু স্বার্থান্বেষী নেতা যখন রাজাকারের গলায় মালা দেয়। কর্মীর অাকাল পড়েছে? যারা দেশই স্বীকার করেনা, তারা অা. লীগ করবে কোনোকালে? দিনশেষে এদের গন্তব্য কি অজানা? তবে এসব কিসের অালামত?
অতীতের বিপর্যয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটি স্পষ্ট, অাওয়ামী লীগের দুঃসময়ের জন্য দলটি নিজেই বহুলাংশে দায়াী। অর্জনের সমৃদ্ধ ইতিহাস সত্বেও নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছে স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায়। ক্ষমতার বৃত্তেই লুকানো ছিল সেই ঘাতক মীরজাফর। ৭৫’র বেদনাবিধুর ও দুনিয়া কাঁপানো কালো অধ্যায়ই এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সেই ঘটনা কল্পনায়ও অানতে চাই না। তবে চাইলেই কি সব ভুলা যায়?
একটি সময় (১৯৭৫-৯০) ছিল যখন অাওয়ামী লীগের, বঙ্গবন্ধুর, মুক্তিযুদ্ধের, স্বাধীনতার কথা উচ্চারন করা ছিল বিপজ্জনক। জেল-জুলুম, খুন ছিল প্রাত্যহিক বিষয়। সেই দুরবস্থার মধ্যে ১৯৮১ সালে দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দেশে ফিরেন শেখ হাসিনা। একদিকে সব হারানো বেদনা, অন্যদিকে সেনাশাসকের রক্তচক্ষু। সব মিলিয়ে ভয়ানক পরিস্থিতি। তবু হাল ছাড়েননি তিনি।
ভাঙ্গা-গড়া, সে তো পৃথিবীর অমোঘ নিয়ম। দলের নেতৃত্ব বিভক্ত, বিভক্ত দলও। শেখ হাসিনা দল পুনর্গঠন করেন ব্যাক্তিগত শোক ভুলে, অাজ যার সুফল পাচ্ছে ১৬ কোটি নাগরিক। কিন্তু শেখ হাসিনার এই ঔদার্য্যের মর্যাদা কি দিতে পারছে তার দলের কতিপয় মন্ত্রী, এমপি, প্রভাবশালী? অাওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কতিপয় লোভী নেতা অাজ শেখ হাসিনার অর্জনে কালিমা লেপনে সচেষ্ট, কেন?
বঙ্গবন্ধুর সেই সত্য ভাষণটি বড় মনে পড়ে, পীড়িত করে। চাটার দল সত্যিই খামচে ধরে অা. লীগের অগ্রগতি, অার এদের কারনে নেতৃত্বকে করে প্রশ্নবিদ্ধ। চাটাদের জন্যই প্রাণ দিয়েছেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী, অাপনার কাছে সবিনয় নিবেদন, যারা দলের বদনাম করছে, এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। অাওয়ামী লীগে জামায়াত থেকে অাসা কর্মীর কখনোই প্রয়োজন ছিলনা, হবেও না।।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।