‘অামি স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘৃণা করি’- এমন উচারনে একাত্ম হচ্ছে বাংলাদেশ। অামাদের স্বাধীনতা অনেক দামে কেনা, কারো দয়ার দান নয়। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, বঙ্গবন্ধু ও অাওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীন দেশে ‘স্বাধীনতা বিরোধীদের অাস্ফালন অার না’। এদের নির্মূলে অাগামী পঞ্চাশ বছর ক্ষমতায় থাকবে অা. লীগ। এখন থেকে এটিই হোক প্রতিটি মুজিব সেনার অঙ্গীকার।
একাত্তরে পৃথিবী যখন একটি নবীন রাষ্ট্রের জন্ম দিতে কাতরাচ্ছিল, তখন দেশি-বিদেশি একটি শ্রেনীর মুখে ছিল নিষ্ঠুর অট্টহাসি। অখন্ড পাকিস্তান ও ধর্ম রক্ষার নামে একদল অমানুষ মেতেছিল হত্যা, লুটপাট ও ধর্ষনে। বিদেশি অশুভ শক্তির প্রত্যক্ষ মদদে এরা যে ধ্বংসজজ্ঞ করেছে তা সভ্যতার ইতিহাসে বিরল। সেই জানোয়ারদের অঙ্কশায়িনী খালেদা অাবারো ক্ষমতায় এলে তা হবে বাংলাদেশের অাত্মহনন।
অামি স্বীকার করি অাওয়ামী লীগে মীরজাফর’রা ঘাপটি মেরে ছিল, সেনাবাহিনীতে অসন্তোষ ছিল। কিন্তু উপপ্রধান সেনাপতি হিসাবে মেজর জিয়ার তো এগুলো বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করা উচিত ছিল। এখানেই ক্ষমতার প্রশ্নটি লুক্কায়িত। ধুরন্ধর জিয়া অাঁচ করেছিল, হত্যাকান্ডের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে তাকে প্রয়োজন হবে। অার ছকটি সেভাবেই সাজানো ছিল। এই খুনির সৃষ্ট রাজাকারের সমর্থকদের অার ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ। অামরা স্বাধীনতার পক্ষের সরকার ও বিরোধী দল চাই।
বাঙালী এখনো এতটা ভুলোমনা হয়নি যে স্বাধীনতা বিরোধীদের অাবারো রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। মুক্তিযুদ্ধে মেজর জিয়া ছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর, বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাপত্র পাঠ করে সে হয়ে যায় by chance freedom fighter. পচাত্তর পরবর্তী তার কর্মকান্ডই প্রমাণ করে সে গুপ্তচর। রাজাকার পুনর্বাসন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কার প্রদান সেই সাক্ষ্যই দেয়। এই জানোয়ারের মরনোত্তর ফাঁসি চাই।
একমাত্র মা-ই জানে প্রসব বেদনা কাকে বলে। বাঙালী জাতি-রাষ্ট্র গঠনে অাওয়ামী লীগের ছিল মায়ের ভূমিকা। বাংলাদেশে কেবল অাওয়ামী লীগই জানে ন’মাসের সেই যন্ত্রনাকাতর দিনগুলোর ব্যাথা-বেদনা কতটা ভয়াবহ ছিল। বর্তমানে এ রাষ্ট্রের সমস্যা কি এবং চিকিৎসা কি, সেটিও জানে এই দলটি। বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়ান না হলে অারো ২৫ বছর অাগেই অামরা সমৃদ্ধ দেশে পৌঁছে যেতাম। কিন্তু জাতির চরম দুর্ভাগ্য। তবে সৌভাগ্য এই যে, তাঁর কন্যার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।