চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সফরে দু’দেশের সম্পর্কের যে উন্নতি হয়েছে, তা অব্যাহত রাখতে পারলে মধ্যম আয়ের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা সুগম হবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিয়োগকৃত অর্থের সুষ্ঠু পরিচালনা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা গেলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।
সোনালী দিন কিংবা নতুন দিগন্তের সূচনা- চীনের প্রেসিডেন্টের সফরটিকে দুভাবেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে দুদেশের সরকারি শীর্ষ পর্যায় থেকে।
প্রথম দিনের সফরে মিলেছে সে নিশ্চয়তাও। রেকর্ড বিনিয়োগের যে সম্ভাবনা নিয়ে ৩০ বছর পর ঢাকায় পা রাখলেন চীনা প্রেসিডেন্ট, প্রাপ্তিও মিলেছে সমান তালে।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, সড়ক যোগাযোগ ও অবকাঠামো নির্মাণ, সন্ত্রাসবাদ দমন, কৃষি, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মিলেছে
উন্নয়নের নিশ্চয়তা। বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক পরাশক্তি দেশটির ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড প্রকল্পেও বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়টি এখন চূড়ান্ত।
অনেক প্রাপ্তির এ সফর নিয়ে তাই আশাবাদী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবীর।
তবে প্রশ্ন থেকে যায় প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার। সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের আশঙ্কার জায়গা তাই বিনিয়োগকৃত অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর।
চীনের সঙ্গে প্রায় শতকোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশের। তাই শুধু অভ্যন্তরীণ কাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ নয়, তৈরি পোশাক ও চামড়াসহ বিভিন্নখাতের বাণিজ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে এলে হবে সুষম উন্নয়ন, এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।