জম্মু-কাশ্মীরে পাক সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছে আরও এক ভারতীয় জওয়ান। এ বিষয়ে পাকিস্তান কিছু না বললেও ভারতীয় সেনাদের গুলিতে পাঞ্জাবে ২ পাকিস্তানি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
দু’দেশের পাল্টাপাল্টি এমন অভিযোগের মধ্যেই বিএসএফ জানিয়েছে, ভারতীয় জওয়ান হত্যার জন্য পাক সেনাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে।
রোববার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কাশ্মীর সীমান্তে চোরাগোপ্তা হামলায় নিহত বিএসএফ সদস্যের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দিয়ে পাকিস্তানের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বিএসএফ অতিরিক্ত মহাপরিচালক অরুণ কুমার বলেন, ‘আমরা দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করছি। সীমান্তে যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দিতে আমরা প্রস্তুত। পাক সেনারা বার বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করতে থাকলে, তাদেরকে চড়া মূল্য দিতে হবে।’
ভারতে এই হুশিয়ারির পরও পাক সেনাদের বিরুদ্ধে জম্মু-কাশ্মীরের ৩টি গ্রামের অন্তত ১৩টি জায়গায় গুলি ছোড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আরও এক ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান বলে জানায় বিএসএফ।
এদিকে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়নি। তবে সোমবার পাক সেনাবাহিনী পাঞ্জাব সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে এক শিশুসহ ২ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয় বলে বিবৃতিতে প্রকাশ করে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
গত সপ্তাহে ভারতীয় সেনারা ৭ পাকিস্তানি সেনা ও এক জঙ্গি হত্যার দাবি করলেও; তা অস্বীকার করে পাকিস্তান। এরই ধারাবাহিকতায় কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে পাক-গোলাগুলি অব্যাহত আছে।
এদিকে, কাশ্মীর সঙ্কট নিয়ে ভেঙে পড়া পাক-ভারত আলোচনা পুনরায় শুরু করতে ব্রিটেনকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। তাদের এ আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে সজাগ থাকতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এ অঞ্চলে চলমান সঙ্কট স্থায়ীভাবে সমাধানের আহ্বান জানানো হয়।