ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর, ক্রিকেট বিশ্বের অন্যান্য পরাশক্তিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করা সহজ হবে বলে মনে করছে বিসিবি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলো এখন আরো আগ্রহী হবে বলেও জানানো হয়েছে বিসিবির পক্ষ থেকে। এদিকে, সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি সিরিজ কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই, আয়োজন করতে পেরে বেশ সন্তুষ্ট ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।
চারদিকে শুধুই জয়ের উল্লাস। ঐতিহাসিক, অনন্য, অসাধারণ এমন যত বিশেষণই আসুক না কেন মনে হতে পারে টাইগারদের জয়ের কাছে তা খুবই ম্লান। কারণ জয়টা যে এসেছে ১০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।
টেস্ট ক্রিকেটে এতদিন জয়ের কথা আসলে, প্রতিপক্ষ হিসেবে শুধুই শোনা যেত জিম্বাবুয়ে, কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জিতে ক্রিকেট মানচিত্রে নতুন করে নিজেদের জানান দিয়েছে মুশফিক, সাকিবরা। তবে, দারুন এ জয়ের পরও, নিজের চেহারায় আক্ষেপ পুষে রেখেছেন টাইগারদের গড়ে তোলার মূল কারিগর হাথুরুসিংহে। কিন্তু ঢাকা জয়ের পরও কেন এই আক্ষেপ হাথুরুর?
তিনি বলেন, “চট্টগ্রামে আমরা দারুন খেলেছি। ২২ রানে হারের স্মৃতি আমি কখোনোই ভুলবোনা। আর একটু হলে আমরা টেস্ট সিরিজটা জিততে পারতাম। তবে, ক্রিকেটাররা এখন সব পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে শিখেছে এটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
২০০০ সালের ২৬ জুন টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর, এখন পর্যন্তু মাত্র ৯৫ টি টেস্ট খেলার সুযোগ হয়েছে টাইগারদের। তবে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে সাফল্যের পর, ভারত, অস্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মত পরাশক্তিদের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করা সহজ হবে বলে মত বিসিবির। কর্মকর্তারা বলেন, টিম ভালো খেলছে তাতে রেভিনিউ এর ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে।
ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান সিরিজের আগে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে সিরিজ আয়োজন করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো বিসিবির সামনে। তবে, কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সব শেষ হওয়ায় স্বস্তিতে আছে বিসিবি। তারা বলেন, বিসিবি যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে। তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশী ছিল বলে জানান তারা। এতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিম বাংলাদেশে আসবেন বলে মনে করেন তারা।
সার্বিক নিরাপত্তা স্বাভাবিক থাকায় আগামী বছর আগস্ট সেপ্টেম্বরে এফটিপি অনুযায়ী ঢাকায় আসার ব্যাপারে ইতিবাচক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।