যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর আল ফ্রাঙ্কেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। প্রথম অভিযোগ তুলেছেন লস অ্যানজেলেস রেডিওর সংবাদ উপস্থাপিকা লিন টুইডিন। তিনি বলেছেন, ২০০৬ সালে ইউএসও ট্যুরে গিয়েছিলেন তিনি। ওই সময়ে তারা যখন রিহার্সেল করছিলেন তখন জোর করে তাকে চুমু দিয়েছেন সিনেটর ফ্রাঙ্কেন। পরে বিমানের ভিতরে তাকে জড়িয়ে ধরেন। যৌন হযরান করেন। এ অভিযোগ প্রমাণ করতে তিনি ওই সময়কার উদ্বেগজনক ফটোগ্রাফ যুক্ত করেছেন। এখানেই শেষ নয়। কাছাকাছি অভিযোগ এনেছেন আরো তিনজন নারী। তারা বলেছেন, ফ্রাঙ্কেন তাদেরকে প্রকাশ্যে পিছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরেছেন। এ নিয়ে হাফিংটন পোস্টের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করেছেন তাদের দু’জন। এদের একজন -িসে মেনজ (৩৩) অনলাইন সিএনএন’কে বলেছেন, ২০১০ সালে তারা দু’জন যখন ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছিলেন তখন ফ্রাঙ্কেন তার শরীর স্পর্শ করেন। ওই সময় ফ্রাঙ্কেন সিনেটর ছিলেন। অন্য একজন বলেছেন, ফ্রাঙ্কেন এক পর্যায়ে তাদের শরীরের পশ্চাৎদেশ দু’হাতের মুঠোর মধ্যে নিয়ে নেন। এ অভিযোগ ওঠার আট দিন পর নীরবতা ভেঙেছেন সিনেটর আল ফ্রাঙ্কেন। মিনেসোটা থেকে ডেমোক্রেটের টিকিতে দুই দফায় তিনি সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২৬ শে নভেম্বর মিনেসোটা স্টার ট্রিবিউনকে বলেছেন, সোমবারই কাজে ফিরবেন তিনি। তবে লিন টুইডিনের কাছে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন, তিনি এক্ষেত্রে কোনো অজুহাত দাঁড় করবেন না। বলেছেন, তিনি এ জন্য ভীষণ লজ্জিত। ওদিকে স্বামীর যৌন কেলেঙ্কারির কথা শুনে ভীষণ চটেছেন ফ্রাঙ্কেনের স্ত্রী ফ্রান্নি ব্রাইসন। বলেছেন, তিনি এ অভিযোগ শুনে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ফ্রাঙ্কেনের ভাষায়, তারা আমাকে নিঃশর্ত ভালবাসে। আমার মেয়ে ও জামাইয়ের দুটি সুন্দর বাচ্চা আছে। সোমবার ফ্রাঙ্কেনের ওয়াশিংটন ফিরে যাওয়ার কথা ছিল সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য। এসব খবর দিয়েছে অনলাইন এনবিসি। লিন টুইনডিনের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, সে যে ফটো দেখিয়েছে তার কিছুই আমি স্মরণ করতে পারছি না। এসব ছবিতে যা দেখানো হচ্ছে তা আমি ইচ্ছাকৃতভাবে করি নি। এসব অভিযোগের বিষয়ে তিনি একেবারেই কিছু জানতেন না। মিনেসোটা পাবলিক রেডিও’কে তিনি বলেছেন, কখনো আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো নারীকে অসম্মান করি নি। এমনকি তাদেরকে স্পর্শ করি নি। তবে একজন নারীর তার অভিজ্ঞতার বিষয়টি শেয়ার করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। নারীরা যা বলছেন তা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে তা শুনতে হবে এবং তাদেরকে সম্মান জানাতে হবে। আমি শুনছি।
ফ্রাঙ্কেন পরে বলেন, তিনি পদত্যাগ করছেন না।