এখনও চড়া চালের বাজার। সবজির দাম বাজারভেদে ওঠানামা করলেও খানিকটা স্থিতিশীল রয়েছে। মাছ ও মাংসের দাম অপরিবর্তিত। তবে যে কোন সময় পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।
গত ১৫ দিন থেকে চালের বাজার রয়েছে একই রকম। এরমধ্যে মোটা স্বর্ণা চালের দাম কিছুটা কম বেশি হলেও চিকন চালের দাম কমেনি একফোটাও।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন নতুন ফসল উঠলে চালের দাম আরো কমে আসবে। বৈশাখ মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে উঠতে শুরু করবে নতুন ধান। তখন ৬২ থেকে ৬৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া চাল ৬০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৫০ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। স্বর্না চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন বাজারে।
উত্তরার কয়েকটি বাজার, বানানী, মহাখালী এবং কচুক্ষেত বাজার ঘুরে দেখা যায় – ঢেড়স ৫৫ থেকে ৬০টাকা কেজি, পটল ৬০ টাকা কেজি, আলু দেশি ২০ টাকা, আলু ডায়মন্ড ১৫ টাকা কেজি, বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি, ব্রকলি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পিস, মুলা ২০ টাকা কেজি, লাউ ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি পিস, সজনে ডাটা এক আটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, টমেটো ২৫ টাকা কেজি, কাচা মরিচ ৫০ টাকা কেজি, শসা ৪০ টাকা কেজি, ক্ষিরাই ৩০ টাকা কেজি, পেপে ২০ টাকা কেজি, লেবু ৩০/৪০ টকা হালি, করলা ৫০ টাকা, চাল কুমড়া এক পিস ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া এক ফালি ২০/২৫ টাকা, কাচা কলা ২৫/৩০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪৫, বিদেশি রসুন ১১৫ টাকা, দেশি রসুন ৬৫, চিনি ৬০ এবং আদা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিভিন্ন কোম্পানীর বোতলজাত সয়াবিন তেল ১০৫ টাকায়, সয়াবিন তেল (খোলা) প্রতি লিটার ৯৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উত্তরা ৬ নম্বর কাঁচা বাজারে কথা হয় ব্যাংক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি চালের দাম নিয়ে ক্ষোভের প্রকাশ করে বলেন, আর কত বেশি দামে চাল কিনে খেতে হবে। আমাদের মত মানুষের জন্য খুব কষ্টকর।
এদিকে, বাজারভেদে মাছের দাম ওঠানামা করলেও মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছ (দেশি) ২৫০ থেকে ৩২০, ইন্ডিয়ান রুই ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, কাতলা মাছ ২৪০/২৫০ টকা, সিলভারকার্প ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা, বোয়াল ৩০০/৩৫০ টাকা,পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতি পিস ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০/৮০০ টাকায়।
গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি, ফার্মের মুরগী (ব্রয়লার) ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি মুরগী ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কক ১৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে।
ডাল ও ডিমের দাম রয়েছে আগের মতোই।
অন্যদিকে গেলো নভেম্বর মাস থেকে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে প্রকারভেদে ২০/২৫ টাকা পযর্ন্ত নেমে আসে। মার্চে এসে তা আবার কিছুটা বেড়েছে। দেশি-বিদেশি পেঁয়াজ ৩৫/৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন যে কোনো সময় আরো বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম। কারণ প্রতিবছর রমজান মাসকে সামনে রেখে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির জন্য মজুদ কারীদের দোষছেন পাইকারিরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, শান্তিনগর, হাতিরপুল এবং মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে ২৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ।