রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিপক্ষে ম্যাচের আগে আইপিএলে ক্রিস লিনের স্ট্রাইক রেট ছিল দেড়শোর বেশি। বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসাবে এই অস্ট্রেলিয়ানকে চেনে দুনিয়া। তবে তিনি যে ধৈর্য ধরে ইনিংসকে টেনে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেন, তা আগে এই ফরম্যাটে খুব একটা দেখা যায়নি। বেশিরভাগ সময়ই ডান-হাতি এই ব্যাটসম্যানকে মারকাটারি ব্যাটিং করতে দেখতে অভ্যস্ত সবাই। তবে এদিন মাথা ঠাণ্ডা রেখে দলকে জয়ের পথ পার করে দিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) এই তারকা।এদিন নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন এই ওপেনার। শুরুতে নামে সুনীল নারাইনের সঙ্গে। আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকা ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ২৭ রান করে ফিরে যান। ওয়ান ডাইনে নামা রবিন উথাপ্পা ফেরেন ২১ বলে ৩৬ রানের করে। অন্যদিকে লিন স্ট্রাইক দিয়ে যাচ্ছিলেন অন্য ব্যাটসম্যানদের।এরপরে নীতীশ রানা ও পরে দীনেশ কার্তিকও ঝড়ো ইনিংস খেলেন। স্ট্রাইক দিয়ে অন্যপ্রান্ত থেকে সাপোর্ট দিচ্ছিলেন লিন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫২ বলে ৬২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন ২৯ বছর বয়সী এই তারকা। এদিন স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ১১৯.২৩। যা লিনের স্বাভাবিক স্ট্রাইক রেটের চেয়ে অনেক কম।এদিনের ইনিংসে বিধ্বংসী মেজাজের চেয়েও দায়িত্ববোধ ছিল বেশি। আর সেই সংযমী ইনিংসই কেকেআরকে ম্যাচ জেতালেন। লিন একদিক ধরে না রাখলে ম্যাচ জেতা সহজ হতো না। শেষ পাঁচ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৫২ রান। লিনও প্রয়োজনে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। এদিন মাত্র ১টি ছক্কা ও ৭টি চারে সাজানো ছিল লিনের ইনিংস। পরিশ্রমী অথচ সময়ের প্রেক্ষিতে কার্যকরী ইনিংস খেলে তিনি দলকে জয় এনে দিলেন। একইসঙ্গে ম্যাচের সেরাও হলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আরসিবি: ১৭৫/৪ (২০ ওভার)
কেকেআর: ১৭৬/৪ (১৯.১ ওভার)
টস: কেকেআর
ফলাফল: কেকেআর ৬ উইকেটে জয়ী