ধার্য তারিখ এলেই বলা হয় খালেদা জিয়া ‘আনফিট টুডে’। আর এই প্রক্রিয়ায় আটকে আছে এ মামলার বিচার কাজ। না কি খালেদা জিয়াকে হাজির করা হচ্ছে না—এ বিষয়ে জানতেই কারা চিকিৎসককে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী। এদিকে এই মামলায় আদালত খালেদা জিয়ার জামিন ২৮ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন।
আজ সোমবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হাজির করা এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই দিনের পর থেকে খালেদা জিয়াকে এই মামলার কোনো ধার্য তারিখে আদালতে হাজির করা হয়নি।
আজ শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন বলেন, গত চার মাসে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাতে বলা হয়, খালেদা জিয়া আনফিট টুডে। ধার্য তারিখের আগে-পড়ে তিনি সুস্থ থাকেন। তারিখ এলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে মামলার বিচার কাজে বিলম্ব হচ্ছে। আসলে খালেদা জিয়া অসুস্থ কিনা, না খালেদা জিয়া আসেন না, নাকি কারা চিকিৎসক ইচ্ছা করে এই কাজ করছেন এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাই তাঁকে আদালতে তলব করা হোক।
মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে না, তার প্রকৃত রহস্য জানতে কারা চিকিৎসককে আদালতে তলব করার আবেদন জানিয়েছি। আদালত বলেছেন, এ বিষয়টি দেখে আদেশ দেবেন।
পুরান ঢাকার বকশি বাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন অস্থায়ী ভবনে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে এ মামলার বিচার কাজ চলছে।
আজ খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার জামিন বর্ধিত করার আবেদন জানান। আদালত আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত জামিন বর্ধিত করেন। শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এদিকে এ মামলার অপর এক আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না চিকিৎসা ও ওমরাহ হজ পালনের জন্য বিদেশ যাওয়ার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় দুদক এ মামলা করে।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।