বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির বর্তমান সদস্য, ১/১১ এর পরীক্ষিত কর্মী বিএনপি-জামায়াত জোট আমলের কারা নির্যাতনের শিকার আবু শাকের তানিন খাঁন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মিল্কীর শারীরিক অবস্থার বেগতিক হলে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আবু শাকের তানিন-এর ফেইসবুকের বদৌলতে এই লেখাটা চোখে পড়ে । তিনি আমাদের প্রতিবেদকে বলেন, সত্যিই মিল্কী ভাইদের দেখার মত কেউ নাই। এটা আমাদের জন্য চরম লজ্জা ও কষ্টের কারন। কারন- টানা দশ বছর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। এমপি/মন্ত্রী ভাইদের সময় কোথায়? আজ আর মিল্কী ভাইদের রাজনীতির মাঠে দরকার নাই।
মিল্কী ভাইদের মত সারা বাংলাদেশে হাজার ও মিল্কী আছেন যাদের কথা বেমালুম ভুলে গেছেন ক্ষমতাশালী নেতারা।মিল্কী ভাই রা রাজনীতির মাঠে এখন অপ্রয়োজনীয়। আজ যদি মিল্কী সাহবের জায়গায় প্রভাবশালী বা অর্থশালী কোন নেতা অসুস্থ হতেন তাহলে ঐ নেতার বাসায় বা হাসপাতালে দেখতে এমপি,মন্ত্রী ও প্রভাবশালী নেতাদের ভিড় লেগে যেতো।
কর্মীদের মধ্যে প্রতিক্ষার প্রহর হাসপাতালের বারেন্দায়। মিডিয়া কর্মীদের ভিড় ঐ প্রভাবশালী ব্যাক্তির নিউজ কাভার করার জন্য। মসজিদে মসজিদে মিলাদ। ফেইসবুকের পাতায় পাতায় নেতার সুস্থতা কামনায় স্টেটাস। সবই চাটুকারিতা, কারন তিনি প্রভাবশালী। কিন্তু মিল্কী ভাইরা আজ আওয়ামীলীগে গুরুত্বহীন। একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসলে মিল্কী সাহেবদের কপালে চিকিৎসা সেবা জুটবে। ঠিক তখন ছুটে যাবেন এমপি/মন্ত্রী সহ প্রভাবশালী নেতারা। মিডিয়া তখন হাইলাইট করবে মিল্কী ভাইদের কে।
আগে কেন নয়? সর্বশেষ ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন মজিবর রহমান মিল্কী ভাই। মুক্তিযুদ্ধকালে আইয়ুব খানের জনসভা পণ্ড করে দিয়েছিলেন তৎকালীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুইবারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এই মিল্কী ভাই। ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছেন, আওয়ামী লীগের বহুবার নির্বাচিত সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান মিল্কী ভাই। ৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবি, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা ছিল তার।
সবিনয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন মুজিব আদর্শের দুঃসময়ের মিল্কী ভাইয়েরা আপনার বদৌলতে চিকিৎসা সেবা পান। পাশাপাশি মুজিব আদর্শের নিবেদিত সৈনিকদের কাছে বিনীত আবেদন আপনারা সবাই এই স্টেটাস টা কে শেয়ার করুন এবং পরিচিতদেরকে শেয়ার করতে বলুন।যাতে নিউজটি ভাইরাল হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। যেন মিল্কী ভাইদের সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত হয়। যেন আওয়ামীলীগের ক্ষমতার আমলে দুঃসময়ের দুঃসাহসী মিল্কীরা বিনা চিকিৎসায় হারিয়ে না যান।
মিল্কী ভাইদের পরিবার যেন আশ্বস্ত হয় তাদের পাশে প্রভাবশালীরা না থাকলে ও সারা বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মুজিব সৈনিকরা পাশে আছেন।