কলকাতার পাশে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার পাঁচলার কান্ট্রি রোডস রিসোর্টে আজ শনিবার দুদিনের জন্য বসেছে ‘দুই বাংলার ইলিশ হাট’। পদ্মা আর গঙ্গার ইলিশের রকমারি রান্না আর ইলিশ খাওয়ার মেলা। এই হাটে যোগ দিয়েছেন কলকাতার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কলকাতায় বিদেশি দূতাবাসের কূটনীতিকেরা। যোগ দিয়েছেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ যুক্তরাজ্য, ইতালি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা।
কলকাতার ‘বাউল’ নামের একটি সংস্থা এই ইলিশ হাটের আয়োজন করে। আজ সকালে হাওড়া জেলার পাঁচলার কান্ট্রি রোডস রিসোর্টে এই উৎসবের উদ্বোধন হয়। বাউলের প্রধান সম্রাট চৌধুরী বলেছেন, দুই বাংলার ঐতিহ্যবাহী ইলিশকে আরও জনপ্রিয় করার প্রত্যয় নিয়ে এবং পর্যটকদের কাছে ইলিশের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য তাঁদের এই উদ্যোগ। এই উৎসব চলবে কাল রোববার পর্যন্ত।
আজ সকালে এই উৎসবে বাংলাদেশ ও কলকাতার নামী শেফরা দুই দেশের পদ্মা আর গঙ্গার ইলিশ দিয়ে ১০টি পদ রাঁধেন। এই রান্নার জন্য বাংলাদেশ থেকে এই উৎসবে এসেছেন ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মার দুই নামী শেফ মো. জামাল হোসেন ও মো. আবদুল হালিম। এই উৎসবে বাংলাদেশ তৈরি করে ইলিশের বিরিয়ানি, ইলিশের দোপেঁয়াজি, শর্ষে ইলিশ, স্মোক ইলিশ ও ইলিশ ভর্তা।
অন্যদিকে কলকাতার শেফরাও রাঁধেন একইভাবে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেছেন, ‘আমাদের দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী এই ইলিশের নানা পদ রান্না এবং ওই সব রান্না ইলিশপ্রিয় মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আয়োজন করা হয়েছে দুই বাংলার এই ইলিশ হাটের। এখানের রান্না হয়েছে পদ্মা আর গঙ্গার ইলিশের ১০ রকমের পদ।’ইলিশের পাঁচ রকমের রান্না।
এই অনুষ্ঠানে ইলশপ্রিয় মানুষ যোগ দিয়ে বাংলাদেশ এবং কলকাতার ইলিশের নানা পদ খেয়ে দারুণ সন্তুষ্ট। ৭০ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত হাওড়ার এই কানট্রি রোডস রিসোর্টে আজ উপস্থিত ছিলেন দেশ–বিদেশের অতিথি আর পর্যটকেরা। বাউল আয়োজিত এই উৎসবের সহযোগিতায় ছিল কলকাতার ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন, আইসিসিআর ও ভারতের পর্যটন দপ্তর।
এই উৎসবে ইলিশ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। এ ছাড়া দেখানো হয় বাংলাদেশে ৬৫ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা এবং সে সময় জেলেদের জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে আরেকটি তথ্যচিত্র।