রোববার বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল শ্রদ্ধা নিবেদন কালে সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জুকে শারীরিক লাঞ্ছিত করা হয়।
এছাড়া সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান ও যুগ্ম সম্পাদক এজিএম শামসুল ইসলামকে ধাওয়া করেন নেতাকর্মীরা। তবে তারা পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দৌঁড়ে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।
দলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বিগত দিনে থানা কমিটি গঠনে স্বেচ্ছাচারিতা, পকেট কমিটি বাণিজ্য করে সংগঠনকে শেষ করে দিয়েছে। এখনও তারা সেই কাজটিই করছেন। এর সঙ্গে নতুন করে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচন করতেও বাণিজ্য শুরু করেছেন। তারা কাউন্সিলর নির্ধারণ করতে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এতে প্রত্যেক থানা বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা এসব অভিযোগ বিএনপির হাইকমান্ডকে অবগত করলেও কোনো সমাধান করতে পারেন নি তারা। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার
ধারণ করে বলে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
নেতাকর্মীরা আরও জানান, গত বছরের ৩ জুন দলের গুরুত্বপূর্ণ এই সাংগঠনিক ইউনিটের ২৫টি থানা ও ৫৮টি ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করেন ঢাকা মহানগরের উত্তরের সভাপতি এমএ কাইয়ূম ও সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান। বিতর্কিত ও অখ্যাতদের দিয়ে পকেট কমিটির অভিযোগ তুলে মহানগর উত্তরের ৬৬ জন নেতার মধ্যে ৩২ জন ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।