বৃটেনে কমপক্ষে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। আরো একটিতে সন্দেহ করা হচ্ছে সংক্রমণ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কমপক্ষে ১২৭ জন শিক্ষার্থীর শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এরপর ম্যানচেস্টারেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে আইসোলেশনে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বারলে ক্যাম্পাস এবং কেমব্রিজ হলের প্রায় ১৭০০ শিক্ষার্থী। তাদেরকে আগামী ১৪ দিন রুমের বাইরে যেতে বারণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ না থাকলেও এ নির্দেশ মানতে বলা হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একই রকম ব্যবস্থা নিয়েছে গ্লাসগো এবং এডিনবার্গ ন্যাপিয়েরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
সেখানেও বাধ্যতামুলকভাবে আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ওদিকে স্কটল্যান্ডে শিক্ষার্থীদেরকে পাব এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। ২৫ শে সেপ্টেম্বর স্কাই নিউজের হাতে যেসব তথ্য এসেছিল, সেমতে, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৫১০ জন শিক্ষার্থী ও স্টাফ আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।
ম্যানচেস্টারে ইউনিভার্সিটি এন্ড কলেজ ইউনিয়ন বলেছে, এই সংক্রমণ এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বশেষ বিপর্যয়। এমনটাই পূর্বাভাষ করা হয়েছিল। কোভিড-১৯ যুক্তরাজ্যজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ফাঁকা করে দিয়েছে। এই ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি জো গ্রাডি বলেন, সারাদেশে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে অনুমতি দেয়া হয়। এতে যে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে এ বিষয়ে আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম। এখন সময় এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ ও শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে মন্ত্রীদের ও ইউনিভার্সিটিগুলোর জরুরি পদক্ষেপ। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে ফাউন্ডেশন বিষয়ে অনলাইনে ক্লাস শিফট করেছে ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি।
প্রাপ্ত বয়স্ক স্বাস্থ্য ও ম্যানচেস্টার সিটি কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য কাউন্সিলর বেভ ক্রেইগ বলেছেন, এ পরিস্থিতি মানিয়ে নেয়া যুব সমাজের জন্য অবশ্যই কঠিন কাজ। এ সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্য সরকারি সেবা সার্ভিসগুলোর সঙ্গে কাজ করছি। এর মধ্য দিয়ে আমরা নিশ্চিত করতে চাইছি যে, যেকোনো আক্রান্ত শিক্ষার্থী যেন তার প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা পান। এই শিক্ষার্থীরাই আমাদের সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
২২শে সেপ্টেম্বর প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ১৮৫.৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ম্যানচেস্টারে। এ সময়ে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৬ জন। আগের সপ্তাহের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন। আগের সপ্তাহে প্রতি এক লাখে আক্রান্তের হার ছিল ৯৩.২। অর্থাৎ মোট ৫১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় তড়িঘড়ি করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেট নেতা স্যার এড ডাভে।