খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে ৬০ কোটি ভারতীয়

82287_1
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পরও খোলা জায়গায় মলত্যাগের অভ্যাস বদলানো যায়নি।
জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বিশ্বে একশো কোটি মানুষ এখনো খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে এবং এর ফলে কলেরা, ডায়ারিয়া এবং হেপাটাইটিসের মতো মারাত্মক রোগ-ব্যাধির বিস্তার ঘটছে।
জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের রিপোর্টে বলেছে, খোলা জায়গায় মলত্যাগের অভ্যাস সবচেয়ে বেশি ভারতে। দেশটির ষাট কোটির বেশি মানুষ উন্মুক্ত জায়গায় মলত্যাগ করে।
ভারত সরকার স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা তৈরির জন্য শত শত কোটি ডলার ব্যয় করেও পরিস্থিতি খুব বেশি বদলাতে পারেনি।
অন্যদিকে বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম যেভাবে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের অভ্যাস প্রায় দূর করতে সক্ষম হয়েছে, জাতিসংঘ তার প্রশংসা করেছে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, নব্বইয়ের দশকে যেখানে এই দুটি দেশে প্রতি তিন জনের একজন খোলা জায়গায় মলত্যাগ করতো, ২০১২ সালে এসে সেই অভ্যাস প্রায় নেই বললেই চলে।
স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা তৈরি করে খোলা জায়গায় মলত্যাগের অভ্যাস বন্ধের জন্য শত শত কোটি ডলার খরচ করা হলেও এই অর্থ কার্যত নর্দমায় গেছে বলে মন্তব্য করা হয় জাতিসংঘ রিপোর্টে।
রিপোর্টে এক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে ভারতের।
ইউনিসেফের বিশেষজ্ঞ রলফ লায়েনডিক বলেছেন, স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট সুবিধা তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের কৌশল যেখানে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে, এর বিপরীতে প্রতিবেশী ভারতের কৌশল ছিল খুবই দুর্বল।
তিনি বলেন, দরিদ্রদের কাছে স্যানিটেশন সুবিধা পৌঁছে দেয়ার জন্য ভারত সরকার শত শত কোটি ডলার খরচ করেছে এটা সত্য। কিন্তু এই অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে দেয়ার পর বিভিন্ন রাজ্যে তা ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যয় করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই অর্থ আর দরিদ্র জনগোষ্ঠী পর্যন্ত পৌঁছায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরিচালক মারিয়া নিরা বলেন, ভারতের যে ছবিটা দেখে সবাই ধাক্কা খান তা হলো একটা লোক এক হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে খোলা জায়গায় মলত্যাগ করছেন।
ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়, সাব সাহারান আফ্রিকার ২৬ টি দেশেও এখনো খোলা জায়গায় মলত্যাগের অভ্যাস বাড়ছে। সেখানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নাইজেরিয়ার। দেশটির প্রায় চার কোটি মানুষ এখনো উন্মুক্ত জায়গায় মলত্যাগ করে। বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *