নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় র্যাব কর্মকর্তা জামাতার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নানা মহল থেকে পদ ছাড়ার দাবির মধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে আসেননি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
সাধারণত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনুপস্থিতির বিষয়টি আগাম জানানোর নিয়ম থাকলেও সে রকমও কিছু জানাননি এই আওয়ামী লীগ নেতা।
তবে বিকেলে মন্ত্রী অফিস করতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার এপিএস।
এ ব্যাপারে মায়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমার শরীর ভালো নেই, এ কারণে আমি ক্যাবিনেট মিটিংয়ে যোগ দিতে পারিনি।” তবে তিনি ঢাকাতেই আছেন বলে জানিয়েছেন।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে।
লাশ উদ্ধারের আগের দিন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মেয়েজামাই তারেক সাঈদ মোহাম্মদকে র্যামব-১১ এর অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেনাবাহিনীতে পাঠানো হয়।
এরপর নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জের আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা নিয়ে র্যািব সদস্যরা তার জামাতাসহ সাতজনকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে।
ওই অভিযোগ ওঠার পর গত ৭ মে সাঈদসহ র্যাব-১১ এর ওই তিন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অকালীন অবসরে পাঠানো হয়।
অবশ্য ঘটনার তদন্ত চলার মধ্যেই মোফাজ্জল হোসেনে চৌধুরী মায়া এক বিবৃতি পাঠিয়ে দাবি করেন, ওই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত কারো সঙ্গে তার পরিবারের কোনো সদস্যের সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রীর অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন ভুইঞা বলেন, “মন্ত্রী মহোদয়ের নামে ক্যাবিনেটের ফোল্ডার পাঠানো হয়েছে। তিনি তা গ্রহণও করেছেন।”
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সভায় উপস্থিত ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তা এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, “সভায় যারা কথা বলেন তাদের দিকেই বেশি নজর থাকে। আমি আজ খেয়াল করিনি মন্ত্রী মহোদয় উপস্থিত ছিলেন কিনা।”
তবে কেউ উপস্থিত না থাকতে পারলে তা আগাম জানিয়ে দিতে হয় বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।