সৌদি আরবের বিয়াদস্থ শিফা সানাইয়ায় তিতাস ফার্নিচার নামক ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় নিহতদের শনাক্তের পর মৃতদেহ দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার রাতে এই তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, সৌদি আরবের বিয়াদস্থ শিফা সানাইয়া এলাকায় গত ১২ মে আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিতাস ফার্নিচার নামক ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফ্যাক্টরিতে মোট কর্মরত ১৫ জন কর্মীর মধ্যে ১৩ জন ছিলেন বাংলাদেশি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ১১ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান, যার মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি। মৃতদেহগুলো বিকৃত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় তা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি।
সৌদি আরবের বিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল হান্নান নামক বাংলাদেশি একজন কর্মীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- মো. জালাল (কুমিল্লা), আবদুল গাফফার (কুমিল্লা), বাহা উদ্দিন (কুমিল্লা), শাহ আলম (কুমিল্লা), নাজির হোসেন (কুমিল্লা), মো. সেলিম (কুমিল্লা), মতিউর রহমান (কুমিল্লা), মো. আক্কাছ (মাদারীপুর) ও জাকির হোসেন (ফেনী)।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার রাতে আরও জানিয়েছে, তিতাস ফার্নিচারের মালিক একজন সৌদি নাগরিক হলেও ফ্যাক্টরিটির পরিচালনাকারী ছিলেন দুইজন বাংলাদেশি। তারা হলেন রাজু ও তার ভাই মইনুল। ঘটনার পর থেকে রাজু পলাতক রয়েছেন ও মইনুল বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৯ জন বাংলাদেশির মৃতদেহ দেশটির সমোচি হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। শনাক্তের পর মৃতদেহগুলো দেশে ফেরত পাঠান হবে এবং সরকারি বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে।