আপনি কি টয়লেটে বসে খাবার খাবেন? এমন উদ্ভট প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানোর পক্ষে শক্তিশালী এক প্রচারণা শুরু করেছেন ইউনিভার্সিটি অব নর্থ টেক্সাসের ডিজাইন বিভাগের ছাত্র ক্রিস হারো ও জনাথন ভেনেস্কি। তারা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের একটি এ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে এ প্রচারণা এমন এক সময় শুরু করেছেন যখন পশ্চিমা দেশগুলোতেও বর্তমানে বিপনি বিতান থেকে শুরু করে জনসমক্ষে বিভিন্ন স্থানে মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানো বাধা দেয়া হচ্ছে।
এধরনের প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে একটি টয়লেটে বসে মায়েরা তাদের সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন। প্রকাশ্যে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে যে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে তা দূর করতেই এধরনের পোস্টারে লেখা রয়েছে, আপনি কি এখানে খাবেন? যারা প্রকাশ্যে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে বাধা পান বা অস্বস্তি বোধ করেন তাদের জন্যেই এধরনের প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে। প্রকাশ্যে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে না পেরে তারা বাধ্য হয়ে টয়লেট বেছে নিয়েছেন অন্য কোনো স্থান না পাওয়ায়।
পোস্টারে ক্যাপশন লেখা রয়েছে, উপভোগ করেন, দুজনের জন্যে স্থান, প্রাইভেট ডাইনিং এধরনের উক্তি। এধরনের প্রচারণার পাশাপাশি বলা হচ্ছে যারা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তারা কেনাকাটা বা অন্য কোনো কাজে বের হলে কখন সন্তান দুধ খেতে চাইবে তা বলা যায় না এবং ক্ষুধায় তাদের কান্না পেলে তাদেরকে দুধ না দিয়ে উপায় থাকে না। কিন্তু লোকলজ্জা বা অন্যরা বিষয়টিকে কিভাবে দেখেন তার উপর নির্ভর করে অনেক সময় বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানো সম্ভব হয় না। কিন্তু আইন অনুসারে প্রকাশ্যে মায়েদের বুকের দুধ খাওয়াতে কোনো বাধা নেই।
মিস হারো ও মিস্টার ভেনেস্কির এ প্রচারণা ক্যাফে থেকে শুরু করে জনসমাগম স্থলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এদিকে মায়েরা যাতে প্রকাশ্যে কোনো রকম অস্বস্তি ছাড়াই বুকের দুধ খাওয়াতে পারে সে জন্যে আরো একটি আইন আগামী বছর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। যে সব সন্তান মায়ের বুকের দুধ খায় তাদের ভবিষ্যতে মোটা হয়ে যাওয়া, এ্যাজমা, নবজাতক জনিত মৃত্যু, ক্যান্সার ও অন্যান্য জটিলতা থেকে মুক্তি পায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এধরনের প্রচারণায় যারা সমর্থন দিচ্ছেন তাদের একজন মন্তব্য করেছেন যে, আমি আমার কন্যা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াই প্রকাশ্যেই। তবে টয়লেটে যেয়ে কখনোই তাকে দুধ খাওয়াবো না। আরেকজন বলেছেন, এধরনের প্রচারণাকে স্বাগত জানাই। যাতে বিষয়টি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। একজন শিক্ষক হিসেবে আমাকে ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি সন্তানকে বাথরুমে যেয়ে দুধ খাওয়াতে হয়েছে অথবা তাকে নিয়ে আমার গাড়িতে যেয়ে তা ক্ষুধা মেটাতে হয়েছে।