রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার হাজতে এক হাজতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম রুহুল আমিন (১৮)। তিনি মহানগরীর নামোভদ্রা এলাকার নাজের আলীর ছেলে।
পুলিশ রুহুল আমিনের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করছে। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া জানান, নামোভদ্রা কাঁচাবাজার থেকে ২৫০ গ্রাম গাঁজাসহ শুক্রবার রাতে পুলিশের একটি দল রুহুল আমিনকে আটক করে। আটকের পরে তাকে থানার হাজতে রাখা হয়। হাজতখানার মধ্যে আসামিদের শোয়ার জন্য কম্বল রাখা থাকে। রুহুল আমিন সবার অগোচরে হাজতের টয়লেটে গিয়ে ওই কম্বলের ছেঁড়া অংশ গলায় পেঁঁচিয়ে ভেনটিলেটারের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। রাত ১২টার দিকে টয়লেটের ভেনটিলেটারের সঙ্গে রুহুল আমিনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়।
এদিকে, নিহতের পিতার দাবি, রুহুল আমিনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তবে নির্যাতন করে হত্যার বিষয়টি ওসি সায়েদুর রহমান ভুইয়া অস্বীকার করেছেন।
ওসির দাবি, আসামি রুহুল আমিনকে কোনো ধরনের শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। শনিবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।