নগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধের দাবিতে নগর ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে অটোরিকশা ও প্যাডেল চালিত রিকশা মালিক-শ্রমিকরা। এসময় আগামী ১০ জুনের মধ্যে নগরী থেকে ব্যাটারি চালিত রিক্সা উচ্ছেদ না হলে অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
থেকে চারটি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা নগর ভবন কর্মসূচি শুরু হয়। সংগঠনগুলো হলো চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম বেবিটেক্সি মালিক কল্যাণ সমিতি, চট্টগ্রাম মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরী রিকশা চালক-মালিক সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ব্যাটারি চালিত রিকশার কারণে সিএনজি অটোরিকশা চালক ও প্যাডেল রিকশার চালক-মালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের এখন পথে বসার অবস্থা। এ অবৈধ রিকশা একদিকে যেমন নগরীর ট্রাফিক শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে অন্যদিকে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো রহস্যজনকভাবে নিরব।’
বক্তারা বলেন, ‘শ্রমিক-মালিকরা আন্দোলনে নামলে প্রশাসনের টনক নড়ে। গত ১২ মার্চ নগর ভবন ঘেরাওয়ের মুখে প্রশাসনের পাঁচ-ছয়দিনের অভিযানে ২০ শতাংশ অবৈধ রিকশা কমে যায়। কিন্তু, রহস্যজনকভাবে হঠাৎ অভিযান বন্ধ হয়ে যায়।’
বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘লাইসেন্স নবায়নের নামে গত বছর ৩৫ হাজার প্যাডেল রিকশা মালিকের কাছ থেকে পাঁচ বছরের ফি একসঙ্গে আদায় করা হয়েছে। যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে সেই বৈধ মালিক-শ্রমিকরাই এখন না খেয়ে মরছে। ভূঁইফোড় সংগঠনের নেমপ্লেট লাগিয়ে চলা অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
সমাবেশে অবিলম্বে নগরী থেকে ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশা উচ্ছেদ এবং রিকশা তৈরির কারখানা, গ্যারেজ, শোরুমে সিলগালা করার দাবি জানান বক্তারা। অন্যথায়, আগামী ১০ জুন থেকে নগরীর সকল প্রবেশমুখে অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে আল্টিমেটাম দেন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অটো রিকশা-অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, সিএনজি বেবিটেকসি মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম এ ফারুক, মহানগর রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি ছিদ্দিক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আসিফ মাহমুদ আকতার, মহানগর রিকশা চালক-মালিক সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মো. তছলিম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।
দুপুর একটা পর্যন্ত নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি চলবে।