আধুনিক যুগে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ ক্রীতদাস কাজ করছে। এ খাত থেকে বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার অবৈধ মুনাফা অর্জিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার আইএলও প্রকাশিত ‘প্রফিটস অ্যান্ড পোভারটি: দ্য ইকোনোমিকস অব ফোর্সড লেবার’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোরপূর্বক শ্রমের মাধ্যমে অর্জিত আনুমানিক ১৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার অবৈধ মুনাফার দুই-তৃতীয়াংশ যৌন ব্যবসা থেকে এবং ৫ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার গৃহস্থালী কাজ, কৃষি শ্রম ও অন্যান্য খাতের শ্রম শোষণের মাধ্যমে অর্জিত হয়।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ওপর জোর করে শ্রম শোষণ করা হয় তাদের অর্ধেকের বেশিই নারী ও কিশোরী। এদের দিয়ে প্রধানত জোরপূর্বক যৌন ব্যবসা ও বাসা বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করানো হয়।
অন্যদিকে পুরুষ ও কিশোরদের দিয়ে জোরপূর্বক কৃষি, নির্মাণ ও খনি শ্রমিক হিসেবে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো হয়। ২০১২ সাল পর্যন্ত শোষিত হিসেবে শ্রেণীকৃত আনুমানিক ২ কোটি ১০ লাখ লোকের ওপর এ গবেষণা চালিয়ে এ প্রতিবেদনটি রচিত হয়।