যৌবনের দেহ সৌষ্ঠব হারিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন অল্প-বিস্তর সকলেই। পুরুষদের ক্ষেত্রে বিষয়টি কিছুটা বিলম্বিত হলেও নারীদেহে বয়সজনিত লক্ষণগুলি ফুটে ওঠে মধ্যবয়সে পৌঁছানোর ঢের আগেই। আর যৌবনের ভাটা শুধু ত্বকেই ভাজেই ফুটে ওঠে না, হ্রাস পায় বক্ষসৌন্দর্যও জানিয়ে দেয় তুমি বুড়িয়ে যাচ্ছ। স্তনের শিথিলতাই বুঝিয়ে দেয়, যৌবন এবার বিদায়লগ্নে। তাই বক্ষসৌন্দর্য্য নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ভুগতে দেখা যায় অনেক নারীকে। এবার বোধহয় সেই দুঃশ্চিন্তার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। শল্য চিকিৎসার আধুনিক প্রয়োগে এবার ত্বকের নিচে বসতে যাচ্ছে স্থায়ী বক্ষবন্ধনী। বয়সের চাপে সঙ্কুচিত স্তনের সৌন্দর্য ফেরাতেই এ আবিস্কার। সিলিকন দিয়ে প্রস্তুত করা এ বক্ষবন্ধনী মাত্র ৪৫ মিনিটেই ফিরিয়ে দেবে যৌবনের হারানো সৌন্দর্য্য।
নারীদেহের এই সমস্যা মেটাতে দীর্ঘ দিন যাবৎ সচেষ্ট চিকিত্সক মহল। সম্প্রতি স্তনের শিথিলতা রোখার অব্যর্থ উপায় আবিষ্কার করা গেছে বলে দাবি জানিয়েছে মার্কিন সংস্থা অরবিক্স মেডিক্যাল। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্যে চামড়ার নীচে সিলিকন কাপ বসিয়ে তার দুই প্রান্ত পাঁজরের হাড়ের সঙ্গে টাইট্যানিয়াম স্ক্রু দিয়ে এঁটে নারীর সংকুচিত স্তনযুগলকে করে তোলা যাবে চিরযৌবনা।
প্রসঙ্গত, এযাবৎ সংকুচিত স্তনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো সিলিকন জেল। অন্তর্বাসের আকারে জেল বসানোর কৌশল এই প্রথম। অরবিক্স জানিয়েছে, ২০০৯ সালে বেলজিয়ামে ৫০ জন মহিলার শরীরে এইভাবে স্তন উন্নত করার অস্ত্রোপচার করা হয়। এই প্রকল্পের সাফল্য গোটা ইউরোপে এই চিকিত্সা পদ্ধতির জনপ্রিয়তা বাড়ায়। সম্প্রতি তাকে প্রসংশাপত্র দিয়েছে স্বয়ং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর ফলে সারা ইউরোপে তাদের পণ্য বিক্রি করার অনুমোদন পেয়েছে অরবিক্স।
ব্রিটেনের ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত এবং স্তনের আকার ছোট করতে আগ্রহী মহিলাদের উপর এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, সাধারণ বক্ষ প্রতিস্থাপন চিকিত্সার চেয়ে এই পদ্ধতির শল্য চিকিত্সার খরচ কিছু বেশি।
তবে চিকিত্সকদের একাংশের সাবধান বাণী, সদ্য চালু হওয়া এই পদ্ধতির কোনও বিরূপ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কি না, তার হদিশ পাওয়া এখনও সময় সাপেক্ষ। তবে এ সতর্কবানী দমাতে পারছে না আগ্রহীদের। তাই বক্ষযৌন্দর্য্যের উন্নয়নে নিত্যই বাড়ছে এ নয়া চিকিত্সার চাহিদা।