▪ বিশেষ প্রতিনিধি
মে ২১,২০১৪ রোজ বুধবার,বেলা ১১.০০ঘটিকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজনে বিস মিলনায়তনে ’বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উন্নয়নে সাম্প্রতিক ভাবনা’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।দিনব্যাপী দুই অধিবেশনভিত্তিক উক্ত আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রথম অধিবেশনে মুন্সী ফয়েজ আহমাদ’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যটেজিক স্টাডিজ’র মহাপরিচালক,মেজর জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।তিনি তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন-বাংলাদেশ-মিয়ানমার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ় ও মানবিক। আর এই সুদৃঢ় ও মানবিক সম্পর্ককে বিদ্যমান বিশ্বায়নে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় কাজে লাগাতে হবে।উক্ত সেমিনারে এক প্রবন্দ্ব উপ¯হাপনায় বিস’র সিনিয়র গবেষণা ফেলো; ড.এম জসিম উদ্দিন বলেন-চলমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-মিয়ানমার শরণার্থী বিষয়ক সমস্যা একটি প্রধান আলোচ্য বিষয়।আর এ সমস্যাটিকে এমনভাবে সমাধান করতে হবে যাতে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনোরকম টানাপোড়ন সৃষ্টি না হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ-মিয়ানমার বাণিজ্য ঘাটতি বিবেচনায় আনতে হবে ওদ্বি-পাক্ষিক রাজনৈতিক সদিচ্ছার আলোকে জ্বালানি ওনিরাপত্তা সহযোগিতা,মানব-সম্পদ ওপর্যটন বিনিময়, ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প, সাং¯কৃতিক কর্মকান্ড এবং চট্রগ্রাম-কুনমিং যোগাযোগ সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে।বিইআই’র সিনিয়র গবেষণা পরিচালক; মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন-আমাদের দু-দেশের সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে।এছাড়াও তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নে সন্ত্রাসবাদ ও নিরাপত্তামূলক ইস্যুগুলোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।উক্ত আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রথম অধিবেশনে সবশেষে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার:অর্থনৈতিক সহযোগিতায় করিডর:সুযোগ-সুবিধাসমূহ ও চ্যালেঞ্জসমূহ শীর্ষক অন্য এক প্রবন্দ্ব উপ¯হাপন করেন গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব,শ্রী চন্দন কুমার দে। তিনি তাঁর তথ্যভিত্তিক উপ¯হাপিত প্রবন্দ্বে বলেন-অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যে বিগত ২০০৭ সালে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার সড়ক করিডরের আওতায় বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সাথে সরাসরি দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। অত:পর,০১.৪৫ ঘটিকায় গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র সচিব,জনাব.এম.শহিদুল হকের সভাপতিত্বে উক্ত আন্তর্জাতিক সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।উক্ত দ্বিতীয় অধিবেশনে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহি:সম্পর্ক বিভাগের মহাপরিচালক,এম.রিয়াজ হামিদুল্লাহ ’বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার সূচনাপর্ব,পরিকল্পিত পদচারণায় ও অগ্রগামীর পথে’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্দ্ব উপ¯হাপন করেন। তিনি তারঁ প্রবন্দ্ব উপ¯হাপনায় বলেন-আজকের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিশেষত;বাংলাদেশ-মিয়ানমার টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্থাৎ দু-দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে কাজ করার এখনই উপযুক্ত সময়।যেমন: জলবায়ু পরিবর্তন,জ্বালানি নিরাপত্তা ও উদ্বা¯ত্ত বিষয়ক সমস্যায় অগ্রাধিকার প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক যৌথ ঐক্যমতের ভিত্তিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।আর এসব যৌথ ঐক্যমতের বাস্তবায়নে প্রতিফলন ঘটবেই দু’দেশের সম-অংশীদারিত্বরমূলক উন্নয়ন ও সহযোগিতার কার্যক্রম। অবশেষে উক্ত আন্তর্জাতিক সেমিনারে দ্বিতীয় অধিবেশনে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমার আইএসআইএস’র রাষ্ট্রদূত, ইউ উওন লউইন বাংলাদেশ-মিয়ানমার উন্নয়নে সহযোগিতায়:মিয়ানমার প্রেক্ষাপট শীর্ষক এক তথ্যভিত্তিক প্রবন্দ্ব উপ¯হাপন করেন।আর এ প্রবন্দ্বের উপ¯হাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উন্নয়ন বিষয়ক সহযোগিতার ইতিবাচক দিকসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মি.ইউ উওন লউইন বলেন-বাংলাদেশ সরকার আমাদের শরণাথীদের ক্ষেত্রে অনেক সুদৃঢ় ও মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। অধিকšত্ত আজকের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার আলোকে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার চাইলে মিয়ানমার সরকার ও ইতোমধ্যেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সহযোগিতায় অংশীদার হতে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করছে।