জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা বইয়ের ‘হিমালয়ের শীর্ষে বাংলাদেশের পতাকা’ শীর্ষক রচনায় ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলা হয়েছে। রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে আজ রোববার মামলাটি দায়ের করেছেন আইনজীবী আহমদ ইবনুল। মামলায় এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহিম ও শিক্ষাসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
বাদী মামলাটি করেছেন বইটির ওয়েবসাইট ও জুলাই ২০১২ সালের সংস্করণ ধরে। তিনি আরজিতে ওই রচনায় বেশ কিছু ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মুসা ইব্রাহিমের হিমালয়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণের সময়, এভারেস্ট শৃঙ্গ ও বেস ক্যাম্পের উচ্চতা।
বাদী আরজিতে উল্লেখ করেছেন, ওই রচনার প্রথম অনুচ্ছেদের শেষ সারিতে লেখা মুসা ইব্রাহিম হিমালয়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণের সময়ের জায়গায় লেখা হয়েছে ভোর পাঁচটা ৫৫ মিনিট। এটা ঠিক নয়। কারণ, মুসার সনদে লেখা রয়েছে ছয়টা ৫০ মিনিট। হিমালয়ান ডেটাবেজে লেখা রয়েছে চারটা ৫০ মিনিট। তবে ওই তথ্যভান্ডারের ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সংস্করণে লেখা রয়েছে ভোর পাঁচটা ১৬ মিনিট। ওই অধ্যায়ে এভারেস্টের উচ্চতার জায়গায় লেখা হয়েছে ২৯ হাজার ৩৫ মিটার। বাদী দাবি করেন, সঠিক উচ্চতা হবে আট হাজার ৮৪৮ মিটার। এ ছাড়া বইয়ে বেস ক্যাম্পের উচ্চতা দেওয়া হয়েছে ছয় হাজার ৪৫০ মিটার। বাদী দাবি করেন, প্রকৃত উচ্চতা হবে ছয় হাজার ৪৯০ মিটার।
বাদী আহমদ ইবনুল বলেন, আগামী ৯ জুন মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সেদিন সরকারি কৌঁসুলি ও তাঁর আইনজীবীরা এ বিষয়ে কথা বলবেন। এই রচনা মুসা ইব্রাহিমের নিজের লেখা নয়, তা হলে কেন তাঁকে মামলার বিবাদী করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুসা ইব্রাহিম আমাদের গর্ব। তিনি আমার শত্রু নন। তবে তাঁর ব্যাপারে বইতে সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি। এই বিষয়টি তাঁরও জানা থাকা দরকার। এ জন্যই মামলায় তাঁকে বিবাদী করা হয়েছে।’