বগুড়ায়কলগার্ল দিয়ে চলছে ব্ল্যাকমেইল-বাণিজ্য!বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায়কলগার্লদের জালে আটকা পড়ছেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও ধনী পরিবারেরস্কুল-কলেজপড়ুয়া সন্তানরা। আর এই কলগার্লদের ব্যবহার করছে একটিব্ল্যাকমেইলকারী চক্র। অনেকে তাদের ফাঁদে আটকা পড়লেও লোকলজ্জার ভয়ে কাউকেজানান না। এমনকি থানায় মামলা পর্যন্ত করেন না। ফলে অপরাধীরা পার পেয়েযাচ্ছে।এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে শহরতলি ফুলতলা, ফুলদীঘি, উপশহর ও জলেশ্বরী এলাকায়।২৬ জুলাই, বেলা ১২টা। শহরের বড়গোলা টিনপট্টি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ীআবদুর রাজ্জাককে (৬০) মুঠোফোনে উপশহরের একটি বাসায় আসতে বলেন স্বর্ণালিআক্তার (৩০) নামের এক কলগার্ল।
এক সপ্তাহ ধরে ওই স্বর্ণালির সঙ্গে ফোনে আলাপ চলছিল আবদুর রাজ্জাকের।কলগার্লের কথামতো ওই বাসায় যাওয়ামাত্রই তাকে কয়েকজন মিলে বেঁধে ফেলে। পরেতার কাছ থেকে স্ত্রীর ফোন নম্বর নিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেস্বর্ণালি।
রাজ্জাকের স্বজনরা গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করেওই দিন বিকেল ৫টার দিকে উপশহর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ সময়স্বর্ণালিসহ মূল হোতা জাহিদুল ইসলাম (৫০) এবং মামুন উর রশিদকে (৪৫) আটক করেপুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান জানান, কয়েক মাস আগেও ব্যবসায়ীরাজ্জাক একই কায়দায় ব্ল্যাকমেইল ও অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। তখন ২০ হাজারটাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি থানায় মামলা করেননি।
এদিকে শহরতলি ফুলদীঘি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রফিক কামাল দুলু একটিবাড়িতে পাঁচ কলগার্লের সহায়তায় ব্ল্যাকমেইল-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। গতশনিবার রাত ৮টার দিকে তিন শিক্ষার্থী ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে জানালাদিয়ে তাদের ডাক দেয় এক কলগার্ল। পরে কৌশলে ওই বাড়ির মধ্যে তাদের আটকে ফেলাহয়।
অপহৃতদের মধ্যে সোহাগ (১৮) ও এমরান হোসেন (১৭) মিলেনিয়াম স্কলাস্টিকাস্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। অপরজন নট্রামসের ছাত্র রাব্বি (১৫) ।তারা সবাই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। তাদের প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে ১০হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে দুলু। এ সময় পুলিশকে খবর দিলে হত্যা করাহবে বলেও হুমকি দেয় ওই সন্ত্রাসী।
গভীর রাতে ওই তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ।এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসী রফিক কামাল দুলুকে পুলিশ আটক করলেও কলগার্লরা পালিয়ে যায়।জেলা পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, কলগার্লদের সহায়তায় ব্ল্যাকমেইল ওঅপহরণকারী চক্র একের পর এক অপরাধ করেই যাচ্ছে। তাদের পেছনে প্রভাবশালী একটিমহল জড়িত। এসব ঘটনায় থানায় মামলা করতে চান না ভুক্তভোগীরা।কলগার্লদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বগুড়ার পুলিশ সুপার।