কিছুদিন আগেও অনলাইনে সিলেব্রেটিদের রাখা গোপন ছবি চুরি যাওয়া ও অন্যর মাধ্যমে ইন্টার্নেটে প্রকাশ হওয়ায় অনলাইনে ডাটা রাখার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বব্যাপী। এক্ষেত্রে অ্যাপল নিশ্চিত করেছে হ্যাকাররা মুলত টার্গেট করে সিলেব্রেটিদের অনলাইন একাউন্টের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড। যদিও অ্যাপল বলছে এটা ক্লাউড স্টোরেজ পদ্ধতির দোষ নয়, কারণ ব্যক্তিগত ভাবে অনলাইন এই ক্লাউড স্টোরেজ ব্যাবহারকারীদের পাসওয়ার্ড ও সিকিউরিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েই হ্যাকাররা তথ্য ও ছবি চুরি করছে। দায়ী করা হচ্ছে সিলেব্রেটিদের ‘দূর্বল’ পাসওয়ার্ড ও সিকিউরিটিকে। ক্লাউড হচ্ছে এমন একটা পদ্ধতি যেখানে আপনার ডাটা,ফটো,ডকুমেন্ট ব্যাক্তিগত তথ্য রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার ব্যবহৃত কম্পিউটার বা মোবাইল যেখানেই থাকুক না কেন। আপনি তা ব্যাবহার করতে পারেন যেকোন জায়গা থেকে। আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল নষ্ট হলেও আপনার ডাটা হারাচ্ছে না। অ্যামাজন, অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট এ ধরণের ক্লাউড স্টোরেজ সেবা দিয়ে থাকে। ছোট কোম্পানি ড্রপবক্স, ইভারনোট ডুও এ ধরণের সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনার কম্পিউটারে নয় বরং আপনি আপনার তথ্য, আপনার ডাটা ছেড়ে দিচ্ছেন অন্যের জায়গায়। তাই এক্ষেত্রে নিরাপত্তা জনিত আশঙ্কা কিন্তু রয়েই যায়। যদিও অনলাইন এই ক্লাউড স্টোরেজ কোম্পানিগুলো ইনভেস্ট আর পরিশ্রমের ঘাটতি রাখেনি হ্যাকিং ঠেকাতে তবুও থেমে নেই হ্যাকাররাও। এক্ষেত্রে সবার জন্য পরামর্শ হচ্ছে নিজের নাম, জন্ম তারিখ দিয়ে কখনই পাসওয়ার্ড দেয়া উচিত নয়। শুধু মাত্র অক্ষর দিয়ে নয় বরং সঙ্গে সংখ্যা যুক্ত করুন পাসওয়ার্ড আর ইউজারনেমে। অনলাইন স্টোরেজ একাউন্টে মালটি ফ্যাক্টর সিস্টেম ব্যবহার করা উচিত। যেমন লগিন করার সময় ফোন নাম্বার চাইতে পারে নির্দিষ্ট ওই স্টোরেজ সিস্টেম। সেক্ষেত্রে শুধু মাত্র আপনার ফোন নম্বরই দিন এবং তাদের দেয়া ফিরতি সিকিউরিটি কোড ব্যবহার করে লগিন করুন।