বিজিবি’র হাতে মাদকসহ আটক পুলিশের এসআই আরিফুর রহমানকে ক্লোজ করা হয়েছে। তাকে তাৎক্ষনিক বদলী করে হবিগঞ্জ পুলিশ লাইনে আনা হয়। অপরদিকে আরিফ বাদি হয়ে বাল্লা সীমান্তের টেকেরঘাট গ্রামের তৈয়ব আলীর পুত্র শাহীদ ও মাসুককে আসামী করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করেছেন। ওই মামলায় দেওরগাছ ইউনিয়নের ষাড়েরকোনা গ্রামের মিছির আলীর পুত্র বিল্লাল মিয়া ও সদর ইউনিয়নের নরপতি গ্রামের আহাম্মদের পুত্র আবুল কালামকে জব্দ তালিকায় স্বাক্ষী করা হয়েছে। মামলায় ঘটনার সময় দেখানো হয়েছে রাত সাড়ে ৯ টা। মঙ্গলবার রাত প্রায় ১০ টার সময় বাল্লা বিজিবি ক্যাম্পের কাছে একটি সিএনজি থেকে দুই বস্তা ভারতীয় চোরাই ফেনসিডিল, হুই¯িক ও বিয়ার আটক করে বিজিবি। এ সময় ওই সিএনজিতে সাদা পোষাকে চুনারুঘাট থানার এসআই আরিফ ও দুই পুলিশ সদস্যসহ আরও কয়েকজন অপরিচিত লোক বসা ছিল। বিজিবি মাদকসহ আরিফকে ক্যাম্পে নিয়ে আসে এবং বিষয়টি পুলিশের উর্ধতন কর্তপক্ষকে জানানো হলে প্রথমে এসআই আ. মালেক বাল্লা বিজিবি ক্যাম্পে ছুটে এসে আটক ব্যক্তিরা পুলিশ সদস্য বলে সনাক্ত করেন। সাদা পোষাকের ওই পুলিশ সদস্যদের সাথে পরিচয়পত্র ও থানার সিসি ছিলনা। রাত প্রায় ১২ টার সময় হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল ও চুনারুঘাট থানার ওসি অমুল্য কুমার চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে সমঝোতায় বসেন। এরই মাঝে বিষয়টি গড়ায় পুলিশ-বিজিবি’র উপর মহলসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থায়। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও প্রচারিত হয় চাঞ্চল্যকর মাদক চালানের এ বিষয়টি। শেষ পর্যন্ত রাত ৩ টায় আটক মাদক থেকে ৪৫ বোতল হুইস্কি ও ১২ বোতল বিয়ারসহ আটক ৩ পুলিশ সদস্য এবং মাদক বহনকারী মাসুককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিজিবি। অপরদিকে ৩৩ বোতল ফেনসিডিল রাখা হয় বিজিবি’র হেফাজতে। উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর চুনারুঘাটে অনুষ্টিত আইন শৃংখলা সভায় এসআই আরিফকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার দাবী জানিয়েছিলেন ১০ জন চেয়ারম্যান।