২০০৬ সালে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে রাখা ভারতীয়দের কালোটাকার অঙ্ক ছিল ২৩ হাজার কোটি রুপি। তবে ২০১০ সালে এসব হিসাবের ব্যাপারে তথ্য দিতে দিল্লি জেনেভাকে চাপাচাপি করার পর ১৪ হাজার কোটি রুপি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে গতকাল শুক্রবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিদেশের ব্যাংকগুলোতে ভারতীয়দের হিসাব সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করার ব্যাপারে ভারত সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে সুইজারল্যান্ড। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২০১০ সালে দিল্লি সুইস ব্যাংকগুলোতে ভারতীয়দের অবৈধ ব্যাংক হিসাবগুলোর তথ্য দিতে জেনেভাকে চাপ দেয়। পরে সুইস কর্মকর্তারা ভারত সরকারকে জানান, ২০০৬ সালে এ ধরনের হিসাবগুলোতে ২৩ হাজার কোটি রুপির সমপরিমাণ অর্থ ছিল। তবে ভারত সরকারের তথ্য চাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রায় ১৪ হাজার কোটি রুপি সরিয়ে ফেলা হয়। ফলে অঙ্কটা নয় হাজার রুপিতে নেমে আসে। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের ভাষ্যমতে, ‘এ পর্যায় পর্যন্ত পাওয়া এটাই একমাত্র নির্ভরযোগ্য তথ্য।’
এখন পর্যন্ত ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জেনেভার এইচএসবিসিতে হিসাব থাকা ৬২৭ জন ভারতীয়র ব্যাপারে তথ্য দিতে বলেছেন। এর মধ্যে কিছু হিসাব বৈধ হতে পারে। এ হিসাবগুলোতে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ কোটি রুপি করে রয়েছে। আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাদের হিসাব বলছে, ভারত সরকার জরিমানাসহ সর্বোচ্চ তিন হাজার কোটি রুপি পাওয়ার আশা করতে পারে।
এদিকে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সরকার কর্তৃক ওই ব্যাংক হিসাবগুলোর ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে সুইজারল্যান্ড। দেশটি গত বৃহস্পতিবার বলেছে, ভারত সরকারের সঙ্গে এসব হিসাবের ব্যাপারে তথ্যবিনিময় করা হয়েছিল কর চুক্তির আওতায়। তথ্যবিনিময়-সংক্রান্ত শর্তগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জেনেভা বলেছে, এসব তথ্য ‘সুনির্দিষ্ট ও যথোপযুক্ত’ পরিস্থিতি ছাড়া কোনো আদালত বা অন্য কোনো সংস্থার কাছে প্রকাশ করা যাবে না।