বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে আজ ব্যাপক রদবদল! কিন্তু এমন কৌশল আসলে কতটা কাজে লাগল সে প্রশ্ন থেকেই যায়। শুরুটা ভালো হলেও শেষটা কি তৃপ্তিদায়ক হলো? এমন কিছু প্রশ্ন রেখে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫১ রান তুলল বাংলাদেশ।
তামিম ইকবাল ও এনামুল হকের উদ্বোধনী জুটি বেশ ধীরলয়ে রান তুললেও শুরুটা মন্দ নয়। ৩২.৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়াল বিনা উইকেটে ১৫৮। এ পরিস্থিতিতে বড় স্কোরই অনুমিত। কিন্তু রানআউটে কাটা পড়ে ৭৬ রানে তামিম ফিরলে হঠাৎ বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ১৫৮ থেকে ৪ উইকেটে ১৭৩ রান। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের পঞ্চম উইকেট জুটিতে ওঠা ৩১ রান ওঠার পর আবারও বিপর্যয়। বাংলাদেশের উইকেট পতনে বেশ ‘ছন্দ’ রয়েছে! ১৫৮ রানে পর পর দুই উইকেট, ১৭৩ রানে পর পর দুই উইকেট আর ২০৪ রানে পর পর দুই উইকেট!
ব্যাটিং লাইনআপে পরিবর্তন আসায় সাকিব আল হাসান খেললেন ৩ নম্বরে। আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান সিবান্দার বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন গোল্ডেন ডাক মেরে! চারে নেমে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে কামুনগোজির শিকার হওয়ার আগে মুশফিকের সংগ্রহ ২৭ রান। আগের দিনের ঝোড়ো ইনিংস খেলা সাব্বির রহমান ৫ নম্বরে নেমে পানিয়াঙ্গারার বলে কোনো রান না করেই ফিরলেন। ছয়ে নামা মাহমুদউল্লাহ কামুনগোজির বলে ফিরেছেন ১২ রানে। সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয়, সাতে নেমেছেন মুমিনুল হক। এই বাঁহাতি অপরাজিত ছিলেন ৩৩ রানে।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের একটাই রণকৌশল কাজে লেগেছে। আগেই ব্যাটিং পাওয়ার প্লেটা নিয়ে নেওয়া। সেই পাওয়ার প্লেতে উঠেছে ১ উইকেটে ৪২ রান। কিন্তু যেখানে বাংলাদেশের স্কোর তিন শ পেরোনোর কথা ছিল, সেখানে আড়াই শর ঘরে গিয়ে থামাটা নিশ্চয়ই হতাশার। বিনা উইকেটে ১৫৮ থেকে ৪৬ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার ধাক্কাটার মাশুল দিতে গিয়েই ভালো ভিতটাকে কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ।
ভয়ের কথা হলো, এর আগে ওয়ানডেতে যে দুবার উদ্বোধনী জুটিতে দেড় শ পেরিয়েছিল বাংলাদেশ, দুবারই ম্যাচ হারতে হয়েছে। তা ছাড়া গত জিম্বাবুয়ে সফরে ২৫২ রান করে হেরে যাওয়ার অভিজ্ঞতাও আছে বাংলাদেশের। সেই ভয় তাড়াতে বল হাতে দরকার দারুণ কিছু। এখন সেটারই অপেক্ষা।