মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র একাত্তরের মা জননী মুক্তির আগেই আলোচনায় এসেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিপুণ। সরকারি অনুদানে নির্মিত ছবিটি বাংলাদেশে আগামী ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেলেও ঠিক ওই মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য ইউএস চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত কাজে আজ সকালেই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন, এর আগে জানিয়ে গেলেন ছবিটির বিভিন্ন বিষয়। তার সাথে কথা বলে লিখেছেন মাহতাব হোসেন
অনেক ব্যস্ত মনে হচ্ছে, কেমন আছেন?
জ্বি ভালো আছি। ব্যস্ততাতো একটু আছে। সকালেই যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছি।
আপনার ‘একাত্তরের মা জননী’ তো ডিসেম্বরেই মুক্তি পাচ্ছে, এখন দেশের বাইরে যাচ্ছেন যে?
আমি ওখানকার গ্রিন কার্ড হোল্ডার। ১০ দিনের মধ্যেই ব্যাক করবো।
আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য ইউএস চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছে এই ছবিটি কেমন লাগছে?
-এটা একটা অসম্ভব ভালো লাগার ব্যাপার। অনেক ভালো লাগছে… বলে বোঝাতে পারবো না। তবে এই ছবিটা নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী। ছবিটা আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।
ছবির প্রেক্ষাপট তো ১৯৭১…
হ্যাঁ মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ছবিটি বলা যায় পুরোটাই ফ্ল্যাশব্যাকে। একজন বিগত যৌবনা ৫৮-৬০ বছর নারীর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ক্যাম্পে কাটানো, ফেলে আসা দুঃসহ জীবনের গল্প
ফ্ল্যাশব্যাকের গল্পটা কেমন হবে?
একজন যুবতীর ক্যাম্পের গল্প। ৫ বছরের সন্তানকে পাকিস্তানি সৈন্যরা কেড়ে নিয়ে চলে যায়। যুবতীকে যুদ্ধ চলাকালীন পুরোটা সময় ক্যাম্পেই কাটাতে। আর্মি অফিসারদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে তার ঠিকানা যেন সেই ক্যাম্প। যে জানে না তার সন্তান কোথায়… স্বামী মুক্তিযুদ্ধে
এখানে আপনার বিপরীতে সম্ভবত আগুন অভিনয় করেছে…
হ্যাঁ আগুন আমার স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে ক্যাম্পে থাকতে হয়, আর সেখানকার গোপন তথ্য আমি আগুনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দেই। যার বিজয় সন্নিকটে আসে…
বলা যায় বড় আত্মত্যাগ?
হ্যাঁ অবশ্যই আত্মত্যাগ। আমার সেরা কাজগুলো এই ছবিটিতে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বেদনা-ব্যথার স্মৃতিকাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘একাত্তরের মা জননী’। ছবিটির টিম নিয়ে কিছু বলেন
শাহ আলম কিরণ আমার অসম্ভব প্রিয় একজন মানুষ। তার ছবির মাধ্যমেই আমি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। এই ছবিটা করতে সবাই সর্বাত্মক ভালো করার চেষ্টা করেছে। সবার আন্তরিকতা আর ভালোবাসা না থাকলে এত সুন্দর একটা কাজ হতো না।
এই ছবিতে আপনার কো-আর্টিস্ট হিসেবে আর কে কে রয়েছেন?
মিশু চৌধুরী, চিত্রলেখা গুহ, ম. ম. মোর্শেদ, গুলশান আরা, রাকিব, আবদুল হালিম আজিজ, স্মরণসহ আরো অনেকেই।