সাংবাদিকদের ‘খবিশ’ বলাসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করায় ক্ষমা চেয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। সাংবাদিকদের নিয়ে কটাক্ষ করার চার মাস পর গত মঙ্গলবার রাতে সিলেটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি ক্ষমা চান।
রাত ৮টায় সিলেট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী তাঁর অতীত বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার কথাবার্তা ও বক্তব্যে কোনো কারণে আপনারা মনঃক্ষুণ্ন হয়ে থাকলে নিজ গুণে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট সিলেটে আদিবাসীদের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের ‘খবিশ’, ‘চরিত্রহীন’ ও ‘লম্পট’ বলে মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী বলেন, ‘সংবাদপত্রে আমিও কাজ করেছি। বিজয়ের মাসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হতে পেরে আমি নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি। আজকের অগ্রহায়ণের নবান্নের এই সন্ধ্যা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ তিনি বলেন ‘আসুন আমরা সবাই মিলে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য কাজ করি।’
মন্ত্রী বলেন, মানুষমাত্রই ভুল হয়। সাংবাদিকের কলমের চাবুকে অনেক সময় ভুল সংশোধন হয়। এই চাবুক বুলেটের আঘাতের চেয়েও শক্তিশালী। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অনেক ভেবেচিন্তে কাজ করতে হয় এবং দায়িত্বশীল হতে হয়। মঞ্চের পেছনে দাঁড়ানো ক্রিমিনালের ছবি গোল চিহ্নিত করে একজন মন্ত্রীকে হেয় করা উচিত নয়। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর পত্রিকায় দায়িত্বহীন লেখালেখির কারণে জিএসপি সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে।
লজ্জা ও ধর্মের কথা চিন্তা করলে নার্সের পেশায় না আসা উচিত : নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার জানান, গতকাল বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দুই দিনের স্বাস্থ্যমেলা উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। এ সময় তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের নার্সদের মায়ের সোহাগ দিয়ে রোগীদের সেবা করতে হবে। রোগীর সেবা করতে এসে ইসলামী লেবাস পরলে চলবে না। নার্সের পোশাকই পরতে হবে।’ মন্ত্রী তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘ভারতের একটি হাসপাতালে আমার বাইপাস অপারেশন হওয়ার পর ভারতীয় নার্স আমাকে গোসল করিয়ে দিয়েছে। আমার গোপন অঙ্গ ওয়াশ করে দিয়েছে। আমি লজ্জা পাচ্ছিলাম। কিন্তু ওই নার্স আমাকে বলেছে, ওটা করা তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমাদের নার্সদেরও ওই রকম সেবা প্রদান করতে হবে। বেশি লজ্জা ও ধর্মের কথা চিন্তা করলে নার্সের মতো পেশায় না আসাই উচিত।’
post by Usman gony