উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম-পৃথিবীর সব সমুদ্রের তলদেশকে যেন একই সাথে একই বৃত্তে বন্দী করেছে শ্যামদেশ বলে খ্যাত থাইল্যান্ড। সমুদ্রের তলদেশের অজানা রহস্যের পাশাপাশি সেখানকার প্রাণীদের সম্পর্কে ধারণা দিতে রাজধানী ব্যাংককের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে তোলা হয়েছে সী লাইফ ওশান ওয়ার্ল্ড।
পৃথিবীর পাঁচটি মহাসাগরের চরিত্র এবং গঠন কাঠামোতে রয়েছে ভিন্নতা। সে সাথে ভিন্নতা রয়েছে সেখানকার প্রাণীকুলেরও। এ অবস্থায় একই সাথে মহাসাগরগুলোর তলদেশে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করা অনেকটা অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু থাইল্যান্ডের সী লাইফ ওশান ওয়ার্ল্ড সে ধারণাকে শেষ পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত করেছে।
সাগরের তলদেশে যেতে হবে না মাছ কিংবা দুর্লভ প্রাণী খুঁজতে। কি নেই এখানে। স্থলভাগেই গড়ে তোলা এ স্থাপনায় সাগরের উপরি কিংবা তলদেশের নানা ধরণের নানা আকৃতির মাছ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে উত্তর মেরুর পেঙ্গুইন পাখি এবং নিবিড় বৃষ্টি অঞ্চলের প্রাণী ভোঁদড়।
জলজ্যান্ত সবগুলো মাছ এবং অন্যান্য প্রাণী ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষের আশপাশেই। সে সাথে পুরো আয়োজনেও রয়েছে সমুদ্রের তলদেশের পরিপূর্ণ আমেজ। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং গবেষক আসেন এখানে গবেষণার কাজে। অফ সিজনেও এখানে প্রতিদিন অন্তত ২ হাজার পর্যটক আসেন বলে জানান সুপারভাইজার।
সুপারভাইজার জানান, ‘পর্যটকের সংখ্যাটা মূলত নির্ভর করে মৌসুমের ওপর। রাশিয়া ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আসে এখানে।’
ব্যাংকক রিজেন্ট হলিডে প্যাকেজ মার্কেটিং ম্যানেজার আনিসুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এটা এমন একটা জায়গা যেখানে আপনি এমন কিছু প্রাণী দেখতে পাবেন, যাদেরকে কখনো জীবিত দেখবেন এটা আপনি ভাবেননি।’
ব্যাংককের পাথুয়াম এলাকার রামা সড়কের সিয়াম প্যারাগন শপিং সেন্টারেই অবস্থান এ সী লাইফ ওশান ওয়ার্ল্ডের। বাস কিংবা মেট্রোরেলে সহজে আসা যায় এখানে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পর্যটকরা এখানে ঘুরে বেড়াতে পারেন।