এক নম্বরে লিওনেল মেসি, দুইয়ে রোনালদো। কিংবা একে রোনালদো, দুইয়ে মেসি। গত সাত বছর ধরে ফুটবল সাম্রাজ্যটা এই দুজনেরই দখলে। কিন্তু মেসি একে আর রোনালদো ২৬ নম্বরে-এমন বিস্তর ব্যবধান কখনোই হয়নি। ভাবাটাও অসম্ভব। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি গবেষণার ফল এমন রায়ই দিচ্ছে। যেখানে মেসি শীর্ষে, তার ২৫ ধাপ পেছনে রোনালদো।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক ফুটবল পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা সংস্থা সিআইইএসের প্রকাশ করা এক সমীক্ষায় অনুযায়ী ২০১৫ সালে ইউরোপের সেরা স্ট্রাইকার এ পর্যন্ত মেসি। যেই তালিকার সেরাদের তালিকা তো দুরে থাক, সেরা দশ এমনকি সেরা বিশের মধ্যেই নেই রোনালদো। তিনি আছেন তালিকার ২৯ নাম্বারে।
সিআইইএস ফুটবল সংক্রান্ত নানা রকম গবেষণা এবং সমীক্ষার জন্য বেশ সুখ্যাত এই প্রতিষ্ঠানটি। মাঠে খেলোয়াড়দের শট, সুযোগ তৈরি, খেলার ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারার ক্ষমতা, পাস বিনিময়ের হার, প্রতিপক্ষের গোলের সুযোগ নষ্ট করার ক্ষমতা এবং মাঠে কাঠিন্য তার মতো বিষয়গুলোর ওপর নম্বর দিয়ে এই তালিকাটি করা হয়েছে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে মেসি পেয়েছেন ১০০ তে ১০০! ২০১৫ সালের মাত্র প্রথম তিন মাসেই তিনি গোল পেয়েছেন ১৯টি। যেখানে রোনালদোর কপালে জুটেছে মাত্র ৬টি গোল। সূত্র: মেইল অনলাইন।
যে বিষয়গুলো আমলে নিয়ে নাম্বার দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের:
শট: গোলের সুযোগগুলো কে কতটা নিখুঁত শটের মাধ্যমে কাজে লাগাতে পেরেছে।
সুযোগ তৈরি: শুধু নিজের গোল সংখ্যাই নয়। সতীর্থদের জন্য কতগুলো সুযোগ করে দিয়েছেন সেটাও আনা হয়েছে আমলে।
খেলার দখল নিতে পারার ক্ষমতা: প্রতিপক্ষকে কতটা ক্ষিপ্রতার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করতে পেরেছেন খেলোয়াড়েরা সেটাও বিবেচনায় আনা হয়েছে।
পাস বিনিময়: সফল পাস-বিনিময়ের ক্ষমতাও দেখা হয়েছে এই জরিপে।
প্রতিপক্ষের গোলের সুযোগ নষ্ট: মাঠে নিজের দক্ষতায় প্রতিপক্ষের কতগুলো গোলের সুযোগ নষ্ট করে দিতে পেরেছেন মার্ক দেওয়া হয়েছে এই বিষয়টির ওপরে।
কাঠিন্য: প্রতিপক্ষের সঙ্গে স্কিল এবং সামর্থ্যের সমন্বয়ে কী রকম লড়াই করতে পেরেছেন, নাম্বার আছে এতেও।