কোথাও টানা বৃষ্টি, আবার কোথাও উজান থেকে নেমে আসা ঢল ভাসিয়ে দিয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ন এলাকা। বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে যমুনার পানি। প্লাবিত সারিয়াকান্দি-ধুনট উপজেলার ১৮টি গ্রাম। পানিবন্দি অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। যমুনার তীব্র স্রোতের মুখে থেকে বহু চেষ্টার পরও সারিয়াকান্দিতে ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করা যায়নি। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে কুড়িগ্রামেও। বেড়েছে ধরলা,
ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারের পানি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় এক লাখ মানুষ। লালমনিরহাটে তিস্তা ব্যারেজে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে পানি। ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে কর্তৃপক্ষ। সিলেটেও বেড়েছে গোয়াইন, পিয়াইন, সারিসহ বেশ কয়েকটি সীমান্ত নদীর পানি। তবে নতুন করে কোন এলাকা প্লাবিত হয়নি। শেরপুরে ঝিনাইগাতী আর শ্রীবর্দীর নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে।