এনায়েত মজুমদার, চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চাঁদাবাজদের চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদারের কাজে বাধা এবং রাতের আধারে সমাপ্তকৃত কাজের কার্পেটিং ও সিলকোর্ট তুলে পেলে দিয়ে কয়েক লক্ষটাকার ক্ষয়-ক্ষতি করেছে স্থানীয় চাঁদাবাজরা।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর ইউনিয়নে হরিপুর-গন্ধব্যপুর সড়কের মধ্যে পৌনে এক কিলোমিটার সড়ক এলজিডির পরিচালনায় প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে চাঁদপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানিয়া এন্ড কোং পাকা করন কাজ গত সাড়ে ৩ মাস যাবৎ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে কাজের প্রথম থেকেই স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজ চাঁদা চেয়ে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও মারধরের ঘটনা ঘটায়। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় পাকা করনের কার্পেটিং ও সিলকোর্ট কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রবির দেবনাথ ও মো. মমিন কিছু লোকজন নিয়ে কাজে বাধা দিলে প্রায় ৪ ঘন্টা কাজ বন্ধ থাকে। পরে উপজেলা এলজিডির কর্মকর্তারা গেলে পূনরায় কাজ শুরু হয়।
এ কাজের সাব-কন্ট্রাকটার মো. আবু তাহের জানান, আমরা ৩৫জন লেভার নিয়ে গত সাড়ে ৩ মাস যাবৎ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কাজের প্রথম থেকেই ইউপি সদস্য প্রবির দেবনাথ, মমিন ও তার ভাই নূর আলম কাজে বাধা দিয়ে থাকে। এ ছাড়া কাজে বাধা ও চাঁদা দাবী করে নুরআলম আমার ছেলে আইয়ুব শেখ ও কয়েকজন লেবারকে মারধর করে। এ নিয়ে কয়েক দিন কাজ বন্ধ থাকলেও ইউপি সদস্য তা মিট করে দিবে বলে তা কোনো শুরাহ হয়নি। গত শুক্রবার ইউপি সদস্য প্রবির দেবনাথ, মো. মমিন স্থানীয় কিছু লোকজন নিয়ে এসে কাজে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। এর পরই রাতের আধারে ১০/১৫জন লোক এসে সড়কের কার্পেটিং ও সিলকোর্ট তুলে পেলে দেয়। যা কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য প্রবির দেবনাথ, মো. মমিন জানান, আমরা কখনও কোনো চাঁদা দাবী করিনি। এ অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানিয়া এন্ড কোং এর পরিচালক মো. বিল্লাল জানান, আমার এ সড়কের কাজের কার্পেটিং ও সিলকোর্ট তুলে পেলে দেওয়ায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চাঁদাবাজীর বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
উপজেলা প্রকোশলী দীপংকর ঘোষ জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তানিয়া এন্ড কোং এ সড়কের কাজের সকল মালামাল (ম্যান্টিনেন্স) ঠিক রেখেই কাজ করে যাচ্ছে। যারা সড়কের কার্পেটিং ও সিলকোর্ট তুলে পেলে দিয়েছে, যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।