বেশ করে ফাস্টফুড আর চর্বিযুক্ত খাবার যারা পছন্দ করেন, অথচ স্বাস্থ্যটাও ভালো রাখতে চান দীর্ঘদিন তারা কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। খাবার থাকবে আগের মতোই সুস্বাদু, অথচ তা থেকে অনেকটা কমে যাবে ক্ষতিকর ফ্যাট। এর জন্য আপনাকে খাওয়া কমাতে হবে না, মাংস খাওয়া বাদও দিতে হবে না। চলুন, জেনে নেই সুস্থ থাকার এসব কৌশল।
উচ্চ তাপে মাংস রান্না করলে অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন এন্ড প্রোডাক্ট (AGEs) তৈরি হয়। এটা ইনফ্ল্যামেশন বাড়ায় এবং ডায়েবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। AGE এক্সপোজার কমানোর জন্য মাংস ম্যারিনেট করে রাখুন লেবুর রস এবং ভিনেগারে। এটাকে কম আঁচে গ্রিল করে নিন এবং পোড়া অংশগুলো বাদ দিয়ে দিন।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা যায়, যারা উচ্চমাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবারের সাথে ওট অথবা গমের সিরিয়াল খেয়ে থাকেন, তাদের আর্টারি তেমন একটা ব্লক হয় না। এসব স্বাস্থ্যকর খাদ্যশস্য শরীরে বেশি পরিমাণে চর্বি জমতে দেয় না।
হ্যামবার্গারের মতো ফ্যাটি খাবার খাওয়ার ঘন্টা দুইয়ের মাঝে তাদের আর্টারিতে ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়। কিন্তু এই বার্গারের ওপরে এক টুকরো অ্যাভোকাডো দিয়ে দিলে এই ক্ষতি প্রায় উধাও হয়ে যায়।
এছাড়াও খাবারে ডেইরি বা দুগ্ধজাত উপাদানের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন অ্যাভোকাডো। মাখনের পরিবর্তে সমপরিমাণ পিউরি করা অ্যাভোকাডো ব্যবহার করুন।
অল্প করে চকলেট খাওয়াটা স্বাস্থ্যকর। কিন্তু অনেকেই অল্প করে খেতে পারেন না। এক বসায় অনেকটা চকলেট খেয়ে ফেলেন। এই সমস্যা এড়াতে চকলেটের সাথে রাখুন ফল। অল্প কিছুটা চকলেট গলিয়ে নিয়ে এটাকে ফলের ওপর ছড়িয়ে দিন। এবার উপভোগ করুন চকলেট।
খাওয়ার পর ত্রিশ মিনিট বা তার বেশি হাঁটা আমাদের রক্তে চর্বির ঘনত্ব বাড়ার ঝুঁকি কমাতে পারে ১০ থেকে ২৫ শতাংশ।
এছাড়াও দেখে নিতে পারেন আরও কিছু টিপস যা খাবার থেকে ফ্যাট কম রাখতে সাহায্য করবে-