মাধ্যমিক স্তর থেকে উপরের পর্যায়ে কোনো শিক্ষার্থী দশ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে তার তালিকা পাঠাতে সরকার নির্দেশ দিলেও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তাই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়নি।
তবে তালিকা তৈরির নির্দেশনাকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকরা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, এক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে অভিভাবক ও শিক্ষকদের।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ঈদ জামাতে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের মধ্যে দেশের বেশকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরিচয় প্রকাশ পায়। সন্দেহভাজন এসব সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরেই তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছিল অনুপস্থিত।
আরও অনেক শিক্ষার্থী জঙ্গি দলে যোগদানের কারণে এভাবে নিখোঁজ থাকতে পারে, এমন সন্দেহ থেকে গত ১০ই জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, দেশের মাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন ছাত্র যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া ১০ দিন বা তার বেশি অনুপস্থিত আছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে অনুপস্থিতির কারণ সন্দেহজনক মনে হলে তা যথাযথ প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসনকে জানাবে। আর সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
তালিকা তৈরির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে রাজধানীর কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে তারা বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন লিখিত নির্দেশনা পাননি তারা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, শুধু আইন করে নয়, জঙ্গি তৎপরতা রুখতে সচেতন হতে হবে সবাইকেই।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে শুধুমাত্র কাগজের চিঠি চালাচালি আমরা করবো সেটি ঠিক না। এ ধরনের ব্যবস্থা বিশ্বের অনেক দেশে আছে। এটি আসলে করা হয়েছে পরিবারের স্বার্থে। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে যেমন উদ্যোগী হতে হবে, তেমনি বাড়াতে হবে সরকার ও পরিবারের নজরদারীও।