আবিদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম
সবকিছুই ঠিকাঠাক ছিল। বাইরে ছিল প্রতিদিনের মতো যানজট। আর ভেতরে আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলা বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের বহুল আলোচিত সিরিজ ঘিরে চলছিল সর্বশেষ প্রস্তুতি। মিডিয়াকর্মীরা সেইসব খবর সংগ্রহে ব্যস্ত। এর মধ্যেই বিকট আওয়াজ! পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক। প্রশ্ন একটাই মিরপুরে ‘হোম অব ক্রিকেট’ এ হচ্ছেটা কী?
বিস্ফোরণের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই দেখা গেল ক্রিকেটারদের জিম্মি করে ফেলেছে জঙ্গিরা। দ্রুত তলব করা হলো সেনাবাহিনীকে। চোখের নিমেষে মাঠে প্রবেশ করলেন ৫০ জন বিশেষায়িত কমান্ডো। আকাশে চক্কর দিতে লাগল দুটো হেলিকপ্টার। একেবারে যুদ্ধাবস্থা! শুরু হয় জঙ্গিদের সঙ্গে কমান্ডোদের তুমুল বন্দুকযুদ্ধ। ৩০ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে ক্রিকেটারদের উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে নিরাপদে নিয়ে যান কমান্ডোরা।
এভাবেই সফলভাবে শেষ হয় সেনা অভিযানের মহড়া। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজে কোনো নিরাপত্তার শঙ্কা নেই। পুরো স্টেডিয়াম এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ভিভিআইপি নিরাপত্তা পাচ্ছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। তবুও সন্ত্রাসীদের সতর্ক করতে এবং নিজেদের প্রস্তুতি ঝালাই করে নিতে সেনাবাহিনীর এই আয়োজন। চলল সকাল ১১টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
মহড়া শেষে ‘এক’ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এম ইমরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ ও জাতির যেকোনো প্রয়োজনে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তারই ধারাবাহিকতায় চলমান বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ক্রিকেট সিরিজের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র বিশেষায়িত ফোর্স ‘এক’ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন। বাংলাদেশ আর্মি এভিয়েশন এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং সাথে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে এটা ছিল সার্বিক মহড়া।”