ছাব্বিশ বছর পরে ‘হোল্ডিং ট্যাক্স’ সমতাকরণের লক্ষ্যে কাজ চলছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেবাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া উভয়ের দাবি-সেবা খাতের অন্যান্য খরচ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্যের সাথে তাল মেলাতেই হিমশিম খেতে হয়।
এরওপর কর বাড়ালে জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নগর কর্তৃপক্ষের দাবি- করের হার বা অন্য কোনরকম অভিযোগ থাকলে প্রয়োজনে নাগরিকরা আইনি সহায়তা নিতে পারবেন।
১৯৮০ সালে করা জরিপের তথ্য মতে, উত্তরে প্রায় দুইলাখ ও দক্ষিণে প্রায় দেড়লাখ হোল্ডিং আছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে। কিন্তু বাস্তবে হোল্ডিং সংখ্যা অনেক বেশি। বিষয়টি জানলেও হালনাগাদ তথ্য না থাকায় পুরনো সংখ্যার ওপর ভিত্তি করেই চলছে আবাসন কর সংগ্রহের কাজ। একাজেও রয়েছে দুর্নীতি ও বৈষম্যের অভিযোগ। ২০১৭ সালের মধ্যেই এ জরিপ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এর পরই নতুন হারে কর আদায় হবে। তবে,বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ারা করের বোঝা বাড়ার আতঙ্কে রয়েছেন এখন থেকেই।
নগর কর্তৃপক্ষ জানান, ২৪ টি খাতের মধ্যে বড় একটি অংশ আয় হয় আবাসন কর থেকে। গত অর্থবছরে দক্ষিণে ১৪২ কোটি টাকা এবং উত্তরে চারশো আশি কোটি টাকা আদায় হয়েছে। সমতাকরণের পরে আদায়ের পরিমাণ আরও বাড়বে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিলাল বলেন, ‘একটা অসমতা রয়েছে সেটিকে সমতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।’
তিনি আরো জানান আইনে যতটুকু ট্যাক্সের কথা বলা আছে বাড়ি মলিকরা ততটুকু ট্যাক্সই দেবেন। মূল সড়ক থেকে দূরত্বের ভিত্তিতে হোল্ডিংয়ের ধরন অনুয়ায়ী কর নির্ধারিত হয়। প্রতি পাঁচ বছর পরপর তা ধার্য করার আইন থাকলেও দুই যুগেরও বেশি সময় পর কাজটি করছে দুই সিটি করপোরেশন।