‘অভিনেতা ডিপজল ১০০ সিনেমা হলে ছবি প্রদর্শনের জন্য নতুন মেশিন বসাবেন জানলাম। এটা তো ভালো কথা। তবে উনি যদি ১০০ সিনেমা হলে মেশিন বসান তাহলে আমি আমার মেশিনগুলো সিনেমা হল থেকে তুলে নেবো। আমি নিজে কোনো মেশিন তাহলে আমার সিনেমা হলে রাখবো না। আর শাকিব খান ও আমাকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বলতে চাই, আমি শাকিব খানকে নিয়ে ঈদের পর আরো তিনটি ছবির ঘোষণা দেবো, পারলে ঠেকাও। ঈদের পর আমাদের প্রদর্শক সমিতিসহ অন্যান্য সংগঠন মিলে বসে জরুরি মিটিং ডেকে কাদের নিষিদ্ধ করতে হবে তা আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবো। জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এফডিসির নবগঠিত চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এমন কথা বলেন তিনি। কারণ, সম্প্রতি এফডিসিতে চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের গড়া নেতাকর্মীরা শাকিব খান, জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজকে নিয়ে নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন। এদিকে ব্যানারে লেখা “এফডিসিতে নৈরাজ্যকারী উন্মাদদের প্রতিহত করা ও প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে”- গতকাল সন্ধ্যায় মগবাজারের একটি রেস্তরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক কাজী হায়াৎ, হল প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, চলচ্চিত্র প্রযোজক ইকবাল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাসসহ অনেকে। প্রযোজক ইকবাল বলেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এখন দুজন তারকা। একজন শাকিব খান, অন্যজন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আজিজ ভাই। ওই সংগঠনের নেতারা নিষিদ্ধ করার কে? তাদের মধ্যে তো কেউই নেই গত ৪-৫ বছরে একটি ছবি প্রযোজনা করেছেন। সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত ঈদে ‘বাদশা’ও ‘শিকারি’ বেশ ভালো ব্যবসা করেছে। জাজ চলচ্চিত্র বাজারে এসেছে বলে সিনেমা হলগুলো টিকে আছে। না হলে হয়তো এখন ১০০ সিনেমা হলও টিকে থাকতো না। ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, সেন্সরবোর্ডের সামনে আমাকে যেভাবে হামলা করা হয়েছে তার দ্রুত বিচার চাই আমি। এরই মধ্যে আমি রমনা থানায় জিডি করেছি (জিডি নং ১২৪০)। হামলাকারীদের দ্রুত বিচার চাই। আর কিছু চাওয়ার নেই আমার। চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক, বুকিং এজেন্ট, প্রদর্শক, হল মালিকসহ বেশকিছু সংগঠনের ব্যক্তিরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।